Tuesday, June 3, 2025

লালমনিরহাটে জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা

 

লালমনিরহাট, ২ জুন ২০২৫: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী জি এম কাদের, তার স্ত্রী শেরিফা কাদেরসহ ১৯ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির এক পোলিং এজেন্টকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

মামলাটি দায়ের করেছেন লালমনিরহাট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান। মামলাটি সোমবার, ২ জুন ২০২৫, লালমনিরহাট সদর থানায় দায়ের করা হয়, ঘটনার সাড়ে সাত বছর পর।

মামলার এজাহারে বলা হয়, খলিলুর রহমান, সাধুটারী গ্রামের বাসিন্দা, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে বিএনপির পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। অভিযোগে বলা হয়, ভোটের আগের দিন, ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়, কয়েকজন তার বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন। তারা বলেন, ভোটকেন্দ্রে গেলে “লাশ হয়ে ফিরতে হবে।” তা সত্ত্বেও খলিলুর ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে যান। নির্বাচনের দিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জি এম কাদের ও শেরিফা কাদেরের নির্দেশে কয়েকজন তাকে ভোটকেন্দ্র থেকে বাইরে নিয়ে গিয়ে মারধর ও গালাগাল করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

খলিলুর রহমান জানান, ঘটনার সময় তিনি থানায় অভিযোগ দিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। তিনি “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার” ও তার মিত্র জাতীয় পার্টির ভয়ে মামলা করতে সাহস পাননি, যার কারণে মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, জি এম কাদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলের আসনে বসিয়ে “ফ্যাসিস্ট সরকারের” বৈধতা দিয়েছেন। তার নির্দেশেই তাকে ভোটকেন্দ্র থেকে ভয়ভীতি ও মারধর করে বের করে দেওয়া হয়।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরনবী জানান, মারধর, সাধারণ জখম, হত্যাচেষ্টা, হুমকি ও হুকুমদানের অভিযোগে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি বলেন, “তদন্ত চলছে, এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান।”
ঘটনার সাড়ে সাত বছর পর দায়ের হওয়া এই মামলা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। বিএনপি জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে নির্বাচনী অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে। তদন্তের অগ্রগতির ওপর নির্ভর করে এ বিষয়ে আরও উন্নয়ন প্রত্যাশিত।
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.