ফরিদপুর, ১১ জুন ২০২৫: ফরিদপুর শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকার হাবিব ভিলার একটি ভাড়া বাসা থেকে রিনা বেগম (৩০) নামে এক নারীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে তার পাঁচ বছর বয়সী কন্যা সন্তানকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে রিনার সঙ্গী মনিরুল ইসলাম (৪০) নিখোঁজ রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয়দের সন্দেহের ভিত্তিতে পুলিশ দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, শৌচাগারের সামনে রিনার মরদেহ পড়ে ছিল এবং পাশের কক্ষে বিছানায় অচেতন অবস্থায় ছিল শিশুটি। ঘরের ভেতর ওষুধ ও খাবারের প্লেট ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। বাসাটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল।
হাবিব ভিলার মালিক হাবিবুর রহমান জানান, চলতি মাসের শুরুতে মনিরুল ইসলাম এক নারীকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নিয়ে বাসাটি ভাড়া নেন। তিনি বলেন, “এক সপ্তাহও হয়নি। ঘটনা শুনে মনিরুলকে ফোন দিয়েছিলাম, কিন্তু তার নম্বর বন্ধ।”
রিনা বেগম ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের মান্নান ব্যাপারীর মেয়ে। স্বজনদের মতে, তার স্বামী শহীদ মোল্যা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে থাকেন। ছয় মাস আগে শহীদের সঙ্গে রিনার বিচ্ছেদ হয় এবং পরে তিনি মনিরুল ইসলামের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। রিনার চাচা আব্দুস সালাম ব্যাপারী বলেন, “বিয়ের পর শহীদ রিনাকে সৌদি নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে তিনি দেশে ফিরে এসে মনিরুলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান।” তবে এক প্রতিবেশী দাবি করেছেন, রিনা ও শহীদের মধ্যে এখনো আইনি বিচ্ছেদ হয়নি।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, “মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রয়োজন। পুলিশ তদন্ত করছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ.আই/এম.আর