স্পোর্টস ডেস্ক : ৩১ মে ২০২৫ : ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের নতুন কোচ হিসেবে কার্লো আনচেলত্তির নিয়োগ ফুটবল বিশ্বে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) এখন ফিফার তদন্তের মুখোমুখি। অভিযোগ, আনচেলত্তির চুক্তিতে একজন অননুমোদিত মধ্যস্থতাকারীকে ১.২ মিলিয়ন ইউরো কমিশন দেওয়া হয়েছে, যা ফিফার এজেন্ট নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ফিফার নিয়ম অনুসারে, ফুটবল চুক্তি বা দলবদলে কেবল নিবন্ধিত এজেন্টরাই মধ্যস্থতা করতে পারেন। কিন্তু আনচেলত্তির চুক্তিতে ডিয়েগো ফার্নান্দেজ নামে এক ব্রাজিলীয় ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে, যিনি ফিফার অনুমোদিত এজেন্ট নন। ইএসপিএন ব্রাজিলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফার্নান্দেজের নাম চুক্তিতে যুক্ত থাকা এবং তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
উইওল স্পোর্টস জানায়, ফিফা ইতিমধ্যে সিবিএফকে চিঠি দিয়ে ফার্নান্দেজের সঙ্গে চুক্তি ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র ৪ জুনের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই সময়সীমার পরদিনই আনচেলত্তি ব্রাজিলের হয়ে ইকুয়েডরের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে কোচ হিসেবে অভিষেক করবেন।
বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে যখন জানা গেছে, ফার্নান্দেজ আনচেলত্তির সঙ্গে একই ফ্লাইটে রিওতে এসেছিলেন। তিনি ব্রাজিলের রেট্রো জার্সি পরে নিজেকে সিবিএফের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন, যা বর্তমান নেতৃত্বের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। নতুন সভাপতি সামির জাউদের, যিনি এডনালদো রদ্রিগেজকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন, এই ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।
৬৫ বছর বয়সী আনচেলত্তির চুক্তি ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত, এবং তার বার্ষিক বেতন প্রায় ১ কোটি ইউরো। এই নিয়োগ ব্রাজিল ফুটবলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এই বিতর্ক প্রশাসনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফিফা এর আগে আফ্রিকা ও এশিয়ার ফেডারেশনগুলোর বিরুদ্ধে এ ধরনের কারণে ব্যবস্থা নিয়েছে। লাতিন আমেরিকায় এটি হতে পারে প্রথম বড় নজির। সিবিএফ যদি সঠিক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আনচেলত্তির চুক্তি প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে এবং ফেডারেশনের উপর আর্থিক বা প্রশাসনিক শাস্তি আরোপ হতে পারে।
আনচেলত্তির নেতৃত্বে ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হলেও, এই তদন্ত ব্রাজিল ফুটবলের প্রশাসনিক বিশ্বাসযোগ্যতার উপর ছায়া ফেলছে।
এ.আই/এম.আর