Friday, May 16, 2025

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ ২০২৫: যুদ্ধের নিরর্থক ব্যায় এবং শান্তির আহ্বান


লেখক: সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সমীম সরকার, ঢাকাগেট
প্রকাশিত: ১৬ মে, ২০২৫, দুপুর ১২:০০
ঢাকা: ২০২৫ সালের ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ, কাশ্মীরে একটি মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলার পর উদ্ভূত হয়ে, আবারও এই উপমহাদেশকে বিশ্বের দৃষ্টিকেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। এই চার দিনব্যাপী সংঘাতে উন্নত অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে এবং এতে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা ১৯৪৭ সাল থেকে চলমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার একটি দুঃখজনক ধারাবাহিকতা। এই নিবন্ধে আমি এই সংঘর্ষের অস্ত্রশস্ত্র, এর প্রভাব, সেলিব্রিটি ও বিশেষজ্ঞদের মতামত, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং এই দীর্ঘস্থায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঐতিহাসিক পটভূমি বিশ্লেষণ করছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, এই নিবন্ধে এই ধরনের যুদ্ধের মানবিক ক্ষতি এবং গাজায় খাদ্য সংকট সমাধানের জন্য যুদ্ধের তহবিল পুনঃনির্দেশনার মাধ্যমে কতজন মানুষের জীবন বাঁচানো যেতে পারে তা অনুমান করা হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হল আরও কষ্ট রোধ এবং শান্তির মাধ্যমে মানবতার উন্নতি নিশ্চিত করার জন্য একটি আকুল আহ্বান জানানো।

২০২৫ সালের সংঘর্ষে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র
২০২৫ সালের সংঘর্ষে ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই উন্নত অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা সংঘাতের তীব্রতা বাড়িয়েছে। নিচে একটি বিস্তারিত সারণীতে প্রধান অস্ত্রশস্ত্র, তাদের আনুমানিক মূল্য, পরিসীমা, নির্দেশনা ব্যবস্থা এবং ভূমিকা তুলে ধরা হল:
অস্ত্র
আনুমানিক মূল্য (USD)
পরিসীমা
নির্দেশনা ব্যবস্থা
ভূমিকা
মিটিওর এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল
~২.৭ মিলিয়ন
১৫০+ কিমি
অ্যাকটিভ রাডার হোমিং
দীর্ঘ-দূরত্বের আকাশযুদ্ধ
MICA এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল
অজানা, সম্ভবত বেশি
৮০ কিমি পর্যন্ত
ইনফ্রারেড/রাডার
স্বল্প-মাঝারি দূরত্বের আকাশযুদ্ধ
SCALP এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ক্রুজ মিসাইল
১-২.৫ মিলিয়ন
৫৬০ কিমি
জিপিএস, টেরেন-ফলোয়িং, আইআর
দীর্ঘ-দূরত্বের নির্ভুল আঘাত
HAMMER AASM
~৩০০,০০০
৬০ কিমি (উচ্চতা)
জিপিএস/আইএনএস, আইআর
কাছাকাছি বিমান সহায়তা, গভীর আঘাত
R-77 এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল
~৫০০,০০০ (আনুমানিক)
৮০-১০০ কিমি
অ্যাকটিভ রাডার হোমিং
মাঝারি-দূরত্বের আকাশযুদ্ধ
R-73 এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল
অজানা, সম্ভবত কম
স্বল্প দূরত্ব
ইনফ্রারেড
কাছাকাছি দূরত্বের আকাশযুদ্ধ
Kh-31 এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মিসাইল
অজানা, ~৫০০,০০০
১১০ কিমি
অ্যান্টি-রাডার
ভূমি লক্ষ্য ধ্বংস
ব্রাহ্মোস এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ক্রুজ মিসাইল
২-৩ মিলিয়ন
৪৫০ কিমি
ইনারশিয়াল, জিপিএস, অ্যাকটিভ রাডার
সুপারসনিক ভূমি/নৌ আঘাত
PL-15 এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল
অজানা, ~১-২ মিলিয়ন
২০০ কিমি
অ্যাকটিভ রাডার হোমিং
দীর্ঘ-দূরত্বের আকাশযুদ্ধ
HQ-9B সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল
অজানা, সম্ভবত মিলিয়ন
দীর্ঘ দূরত্ব
রাডার-গাইডেড
আকাশ প্রতিরক্ষা
JF-17 থান্ডার (বিমান)
১৫-২০ মিলিয়ন
১,৫০০ কিমি
মাল্টি-রোল
যুদ্ধবিমান
J-10C (বিমান)
৩০-৪০ মিলিয়ন
১,৮৫০ কিমি
মাল্টি-রোল
উন্নত যুদ্ধবিমান
সূত্র:
এই অস্ত্রশস্ত্রগুলো, যার প্রতিটির মূল্য মিলিয়ন ডলারে, আধুনিক যুদ্ধের অর্থনৈতিক বোঝা প্রকাশ করে, যা জরুরি মানবিক চাহিদা মেটানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারত।

২০২৫ সালের সংঘর্ষের প্রভাব
এই সংঘাত, স্বল্প সময়ের হলেও, উভয় দেশের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে:
  • সামরিক ক্ষয়ক্ষতি: ভারত ছয়টি উন্নত যুদ্ধবিমান হারিয়েছে—তিনটি দাসো রাফাল, একটি মিগ-২৯, একটি সুখোই সু-৩০ এমকেআই এবং একটি মিরাজ ২০০০—যেগুলো পাকিস্তানের J-10C এবং JF-17 থান্ডার বিমান দ্বারা ভূপাতিত হয়েছে।
  • বেসামরিক হতাহত: পাকিস্তান দাবি করেছে ভারতীয় মিসাইল হামলায় ৩১ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে বেসামরিক নাগরিকও রয়েছে।
  • অবকাঠামোগত ক্ষতি: ভারত ২৭টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়, ৪৩০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়। পাকিস্তান করাচি ও লাহোরের মতো প্রধান বিমানবন্দরে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়।
  • অর্থনৈতিক ক্ষতি: বিমানবন্দর বন্ধ এবং পাকিস্তানের ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধের ফলে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।
  • আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সংযমের আহ্বান জানায়। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে, ২০২৫-এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
  • প্রচারণা যুদ্ধ: উভয় দেশই হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পরস্পরবিরোধী তথ্য প্রকাশ করে, যা ভুল তথ্যের প্রচারকে উৎসাহিত করে।
সূত্র:

সেলিব্রিটি ও যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের মতামত
সংঘাতটি বিভিন্ন পক্ষ থেকে নানা প্রতিক্রিয়া আকর্ষণ করেছে:
  • সেলিব্রিটি প্রতিক্রিয়া: বলিউড তারকা করণ জোহর, মালাইকা অরোরা এবং সাইফ আলি খান ইনস্টাগ্রামে ভারতের অপারেশন সিন্দুর এবং যুদ্ধবিরতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে শান্তির আহ্বান জানান। পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান ভারতের হামলার নিন্দা জানালে ভারতীয় নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে পড়েন।
  • যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের মতামত: বিশেষজ্ঞরা পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেন। রয়টার্স উল্লেখ করেছে যে উত্তেজনা বাড়লে ঝুঁকি বাড়ে। ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন সংঘাতের অনির্দেশ্যতার উপর জোর দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রতিরোধের জন্য শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়।
সূত্র:

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং সংঘাতের কারণ
বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম সংঘাতটি বিস্তারিতভাবে প্রচার করেছে:
  • গণমাধ্যমের প্রতিবেদন: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, আল জাজিরা, রয়টার্স এবং সিএনএন সামরিক পদক্ষেপ, বেসামরিক প্রভাব এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার উপর বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তারা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার এবং ভুল তথ্যের ভূমিকা তুলে ধরে।
  • সংঘাতের কারণ: ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পাহালগামে একটি সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট, যার সঙ্গে লস্কর-ই-তৈয়বার যোগসূত্র রয়েছে, প্রথমে দায় স্বীকার করে পরে অস্বীকার করে। ভারত ৭ মে অপারেশন সিন্দুর শুরু করে, যা চার দিনের সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সূত্র:

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের ঐতিহাসিক পটভূমি
২০২৫ সালের সংঘাত ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের বিভাজনের পর থেকে চলমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার অংশ, যার মূল কারণ কাশ্মীর:
  • ১৯৪৭-৪৮ প্রথম কাশ্মীর যুদ্ধ: কাশ্মীরের ভারতের সঙ্গে যোগদানের বিরোধে সংঘাত শুরু হয়। হতাহত: ভারত: ১,১০৪ সৈন্য নিহত, ৩,১৫৪ আহত; পাকিস্তান: ৬,০০০ নিহত।
  • ১৯৬৫ দ্বিতীয় কাশ্মীর যুদ্ধ: পাকিস্তানের অপারেশন জিব্রাল্টার ব্যর্থ হয়। হতাহত: ভারত: ৩,০০০ নিহত; পাকিস্তান: ৩,৮০০ নিহত।
  • ১৯৭১ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ: ভারতের সমর্থনে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়। হতাহত: ভারত: ৩,৮৪৩ নিহত, ৯,৮৫১ আহত; পাকিস্তান: ৯,০০০ নিহত, ২৫,০০০ আহত; পূর্ব পাকিস্তানে ৩০ লাখ বেসামরিক নাগরিক নিহত।
  • ১৯৯৯ কার্গিল যুদ্ধ: পাকিস্তানের অনুপ্রবেশ ব্যর্থ হয়। হতাহত: ভারত: ৫২৭ নিহত, ১,৩৬৩ আহত; পাকিস্তান: ৭০০+ নিহত।
  • ২০১৯ বালাকোট বিমান হামলা: কাশ্মীরে হামলার পর ভারত সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে আঘাত করে। হতাহত: ন্যূনতম, একজন ভারতীয় পাইলট বন্দী হয়ে পরে মুক্তি পায়।
  • ২০২৫ সংঘাত: পাহালগাম হামলার পর সংঘাত শুরু। হতাহত: পাকিস্তানের দাবি ৩১ জন নিহত।
মোট হতাহত (১৯৪৭-২০২৫): ৩০ লাখের বেশি মৃত্যু, যার মধ্যে ১৯৭১ সালের গণহত্যা সবচেয়ে বেশি। সামরিক ও অন্যান্য বেসামরিক মৃত্যু ২০,০০০-৩০,০০০।

মানবিক ক্ষতি এবং শান্তির মাধ্যমে জীবন রক্ষা
২০২৫ সালের সংঘাতে কমপক্ষে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে, এবং উত্তেজনা বাড়লে আরও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত। ঐতিহাসিকভাবে, এই সংঘর্ষে লাখ লাখ প্রাণ হারিয়েছে।
যুদ্ধের তহবিল মানবিক সাহায্যে ব্যবহার করলে কত মানুষের জীবন বাঁচানো যেত তা বোঝার জন্য আমরা গাজার খাদ্য সংকটের দিকে নজর দিতে পারি। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের খরচ অনুমান করা জটিল, তবে ধরা যাক ভারতের হারানো বিমান ও অস্ত্রের খরচ। ছয়টি বিমান (তিনটি রাফাল, প্রতিটি ৮০ মিলিয়ন ডলার; একটি সু-৩০ এমকেআই, ৫০ মিলিয়ন ডলার; একটি মিগ-২৯, ৩০ মিলিয়ন ডলার; একটি মিরাজ ২০০০, ৪০ মিলিয়ন ডলার) মোট ৩৬০ মিলিয়ন ডলার, এবং মিসাইল যেমন মিটিওর (প্রতিটি ২.৭ মিলিয়ন ডলার) এবং ব্রাহ্মোস (প্রতিটি ২-৩ মিলিয়ন ডলার) যোগ করে আরও ২০ মিলিয়ন ডলার। সুতরাং, ভারতের সরাসরি ক্ষতি প্রায় ৩৮০ মিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানের খরচ সহ মোট সংঘাতের খরচ ধরা যাক ৫০০ মিলিয়ন ডলার।
গাজায়, যেখানে খাদ্যের দাম অত্যধিক (যেমন, ২৫ কেজি আটার ব্যাগ ৪০০ ডলার), একজনকে খাওয়ানোর খরচ প্রতিদিন ১০ ডলার। ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে:
  • মোট ব্যক্তি-দিন: ৫০০,০০০,০০০ ÷ ১০ = ৫০,০০০,০০০ ব্যক্তি-দিন।
  • গাজার ২০ লাখ জনসংখ্যার জন্য: ৫০,০০০,০০০ ÷ ২,০০০,০০০ = ২৫ দিন।
  • এক বছরের জন্য: ৫০,০০০,০০০ ÷ ৩৬৫ ≈ ১৩৭,০০০ মানুষ।
অর্থাৎ, ৫০০ মিলিয়ন ডলার গাজার ২০ লাখ মানুষকে ২৫ দিন বা ১৩৭,০০০ মানুষকে এক বছর খাওয়াতে পারত। এটি যুদ্ধের বিশাল সুযোগ খরচ তুলে ধরে।

সম্পাদকীয় আহ্বান: শান্তির পথে
একজন সম্পাদক হিসেবে, আমি যুদ্ধের নিরর্থকতা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে বাধ্য। ২০২৫ সালের ভারত-পাকিস্তান সংঘাত মৃত্যু, ধ্বংস এবং বিভেদ এনেছে। ১৯৪৭ সাল থেকে এই সংঘর্ষে ৩০ লাখের বেশি প্রাণ হারিয়েছে। এই সংঘাতে ব্যয়িত ৫০০ মিলিয়ন ডলার গাজায় খাদ্য সংকট মোকাবিলায় লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে পারত।
যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়—এটি একটি ট্র্যাজেডি যা মানবতার সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে। কূটনীতি ও সংলাপের মাধ্যমে আমরা জীবন বাঁচাতে পারি, অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে পারি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি নিশ্চিত করতে পারি। সেলিব্রিটি ও বিশেষজ্ঞদের কণ্ঠ এই শান্তির আহ্বানকে সমর্থন করে। আসুন আমরা হারানো প্রাণের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংলাপ, বোঝাপড়া এবং অহিংসার পথ বেছে নিই।

চিত্র পরামর্শ:
  • সংঘাতের প্রভাব (যেমন, বন্ধ বিমানবন্দর, ধ্বংসপ্রাপ্ত সামরিক সম্পদ)।
  • অস্ত্রের ছবি (যেমন, রাফাল জেট, ব্রাহ্মোস মিসাইল)।
  • ঐতিহাসিক চিত্র (যেমন, ১৯৪৭ বিভাজন, ১৯৭১ যুদ্ধ)।
  • গাজার খাদ্য সংকটের ছবি মানবিক সম্ভাবনা তুলে ধরতে।
সূত্র:



Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.