Thursday, May 15, 2025

ভারতে সন্দেহভাজন ‘বাংলাদেশিদের’ ত্রিপুরায় স্থানান্তর, পুশ ব্যাকের আশঙ্কা


ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : ভারতের রাজস্থান থেকে ‘অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক ১৪৮ জনকে ত্রিপুরার আগরতলায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া, আরও ৬০০ জনের বেশি ‘চিহ্নিত বাংলাদেশি’কে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। 

সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ‘অনুপ্রবেশকারী’ খুঁজে বের করার অভিযান শুরু হয়েছে, যার অংশ হিসেবে এই আটক ও স্থানান্তরের ঘটনা ঘটছে।

রাজস্থানে চলা এই অভিযানে বাংলাভাষী ভারতীয় মুসলমানদেরও আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিবিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, আটককৃতদের মধ্যে অনেককে পরিচয় যাচাইয়ের পর ছেড়ে দেওয়া হলেও, ১৪৮ জনকে ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে চিহ্নিত করে বুধবার যোধপুর বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বিমানে আগরতলায় পাঠানো হয়। আগরতলা বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় পৌঁছেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এদের বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করা হবে।
গত সপ্তাহে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ৭২ জনকে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করা হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে। এছাড়া, কুড়িগ্রাম, সিলেট, ও মৌলভীবাজার সীমান্তেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। রাজস্থানে আটক ১,০০৮ জনের মধ্যে ৭৬১ জনকে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকিদের ভারতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের পর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
অভিযানের সময় ভারতীয় বাংলাভাষী মুসলমানদের আটকের অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারা জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে ২০০টির বেশি অভিযোগ পাওয়া গেছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে পরিচয় যাচাইয়ের নামে রাজস্থান পুলিশ ভারতীয় নাগরিকদের আটকে রেখেছে। এমনকি, আটকদের মধ্যে কাউকে আদালতে হাজির না করার অভিযোগও উঠেছে, যা আইনের লঙ্ঘন বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজস্থানে এই অভিযানের জন্য নতুন তিনটি ‘ডিটেনশন ক্যাম্প’ স্থাপন করা হয়েছে, এবং বর্তমানে মোট চারটি ক্যাম্প রয়েছে। আটক ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে অনেকে জানিয়েছেন, তাদের পরিচয়পত্র দেখানো সত্ত্বেও দীর্ঘদিন আটকে রাখা হয়েছে, এবং মুক্তির পর তাদের বাড়িতে চুরি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের মতো ঘটনা ঘটেছে।
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.