Wednesday, May 28, 2025

২০৩০ সালে ই-সিম ব্যবহারকারী হবে ৪৫০ কোটি

ঢাকা, ২৬ মে ২০২৫ – বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন ও অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসে ই-সিম প্রযুক্তি দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। ক্যালেইডো ইন্টেলিজেন্সের একটি সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৭৫ শতাংশ স্মার্টফোনে ই-সিম সুবিধা থাকবে।

গত বছর মাত্র ৫০ কোটি ডিভাইসে ই-সিম ব্যবহৃত হলেও, ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৪৫০ কোটিতে পৌঁছাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু স্মার্টফোন নয়, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ডিভাইসের জন্যও বিশেষ ই-সিম প্রবর্তন করা হচ্ছে, যা প্রযুক্তির এক নতুন যুগের সূচনা করছে।
ই-সিম (ইলেকট্রনিক সিম) হলো একটি ডিজিটাল সিম কার্ড, যা সরাসরি ডিভাইসের মধ্যে সংযুক্ত থাকে। এটি স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ট্যাবলেট এবং আইওটি ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। ফিজিক্যাল সিম কার্ড ছাড়াই নম্বর পরিবর্তন বা অপারেটর বদলানোর সুবিধা এটি প্রদান করে। পরিবেশবান্ধব ও ঝামেলাহীন এই প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বজুড়ে ই-সিম কানেকশন ৪৫০ কোটিতে পৌঁছাবে। এর পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে ফাইভজি নেটওয়ার্কের বিস্তার, ব্যবহারকারীদের সুবিধা এবং স্মার্ট ডিভাইসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা। সম্প্রতি চীন সরকার ই-সিম সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করায় চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে চীনের বাজারে ই-সিম চালিত স্মার্টফোন আসছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি বিশ্ববাজারে ই-সিমের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়াবে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ফাইভজি নেটওয়ার্কের দ্রুত বিস্তার ই-সিম প্রযুক্তির সাফল্যের অন্যতম কারণ। এটি দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করছে, যা স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। পাশাপাশি, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি হিসেবে ই-সিম ভবিষ্যতে আরও টেকসই সংযোগের পথ প্রশস্ত করবে।

এ.আই/এম.আর


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.