Saturday, May 10, 2025

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধুর পানি দেবে না ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ১০ মে ২০২৫ : ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে ‘শর্তসাপেক্ষ’ যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও সিন্ধু নদীর পানি তারা পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগ করবে না। 

এনডিটিভি’র একটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ভারত সিন্ধু নদ চুক্তি স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তানে পানির প্রবাহ বন্ধ রাখার পাশাপাশি ভিসা প্রদান, সীমান্ত বন্ধসহ অন্যান্য পদক্ষেপ অপরিবর্তিত রাখবে।

শনিবার (১০ মে) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে কার্যকর হওয়া এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি চার দিনের ড্রোন ও মিসাইল হামলার পর সম্পন্ন হয়। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এক্সে এক পোস্টে জানান, পাকিস্তানের মিলিটারি অপারেশন্স প্রধান ভারতের মিলিটারি অপারেশন্স প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন, যাতে ভারত সম্মত হয়। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের আপোসহীন নীতি অব্যাহত থাকবে।

এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করে, তারা পাকিস্তানের তিনটি বড় মিসাইল হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি করেছে, যার ফলে পাকিস্তানের আকাশসীমা রক্ষার সামর্থ্য দুর্বল হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, ভারত ও পাকিস্তানের সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এই ঘটনার পরই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়, যা পরে পূর্ণাঙ্গ সংঘাতে রূপ নেয়। ঘটনার পরপরই ভারত ৬০ বছরের পুরোনো সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিল করে, যার আওতায় পাকিস্তান সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর পানি পেত, আর ভারত পেত শতদ্রু, বিয়াস ও রবি নদীর পানি।
চুক্তি স্থগিত করে ভারত পাকিস্তানে এই তিন নদীর পানির প্রবাহ বন্ধের উদ্যোগ নেয়। কাশ্মিরে দুটি হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রজেক্টের জলাধারে পানি জমিয়ে এবং ছয়টি বন্ধ প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার মাধ্যমে তারা পাকিস্তানে পানির প্রবাহ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।
পাকিস্তান এই পদক্ষেপকে যুদ্ধের কার্যক্রম হিসেবে বিবেচনা করার হুমকি দিলেও, ভারতের সূত্র জানায়, সিন্ধু নদ চুক্তি স্থগিত থাকবে এবং যুদ্ধবিরতি কেবল সামরিক ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ।

এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.