ঢাকা, ১১ মে ২০২৫ : রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় সোনার দোকানে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলি, ৩৬টি ককটেল, একটি মাইক্রোবাস এবং একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১১ মে) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মাসুদ রানা চৌকিদার (৩৮), শাকিল (২১), মামুন (৪০), মো. রাব্বি (২৬), মো. আসাদ মিয়া (৪৫), মো. পলাশ শেখ (৩৭) এবং আনোয়ার হেসেন (৪৪)।
নাসিরুল ইসলাম জানান, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় সাম্প্রতিক সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার পর ডিবি তৎপর হয়। গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের আনোয়ার হোসেন এবং বরিশালের পলাশের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল সোনার দোকানে ডাকাতির পরিকল্পনা করছে।
এ তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭.৬২ এমএম বিদেশি পিস্তল ও ৭ রাউন্ড গুলিসহ মাসুদ রানা চৌকিদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ ডাকাতির পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে, এবং তার তথ্যের ভিত্তিতে তার বাসা থেকে ৩৬টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। নিরাপত্তার জন্য বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট এগুলো নিষ্ক্রিয় করে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ডাকাত দলটি গোপালগঞ্জ সদরের বৌলতলী বাজারের নিউ ডলি জুয়েলার্সে ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল। মাসুদকে নিয়ে ডিবি দনিয়া কলেজের সামনে অপেক্ষা করলে রোববার সকাল ১০টার দিকে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে করে শাকিল, মামুন, মো. রাব্বি এবং মো. আসাদ মিয়া এসে পৌঁছায়। তাৎক্ষণিক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়। পরে ধোলাইপাড় এলাকা থেকে মূল পরিকল্পনাকারী পলাশ শেখ ও আনোয়ার হেসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাসিরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তিনি আরও জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডিবি ৮৭ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে, যার ফলে রাজধানী ও আশপাশে ডাকাতির ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
এ.আই/এম.আর