আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে শুক্রবার (১৬ মে ২০২৫) থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক হামলা শুরু করেছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম মারিভের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন গাজায় প্রতি চার মিনিটে একবার করে হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। এই হামলার তীব্রতা ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর সময়ের তুলনায়ও বেশি ছিল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবারের এই হামলায় উত্তর গাজায় ১০০-র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, ৯টি বাড়ি ও তাঁবুতে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন, এবং উদ্ধারের জন্য তারা ফোনের মাধ্যমে সাহায্য চেয়েছেন।
ইসরায়েল পূর্বেই হুমকি দিয়েছিল যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় হামাস যদি যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয়, তবে তারা গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করবে। ট্রাম্প শুক্রবার তাঁর সফর শেষ করে চলে যাওয়ার পরই উত্তর গাজায় বর্বর হামলা শুরু হয়।
উত্তর গাজার বেঈত লাহিয়ার বাসিন্দা বাশির আল-গানধুর বিবিসিকে বলেন, “আমরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম যখন ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলা হয়। আমার বাড়ির আশপাশে ১১ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে আমার দুই ভাতিজি ও এক ভাতিজা রয়েছে।” তিনি আরও জানান, তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা আছেন, এবং বোমা হামলার তীব্রতার কারণে তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এই হামলার ফলে গাজায় মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হলেও, ইসরায়েলের এই আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে।
এ.আই/এম.আর