Thursday, May 22, 2025

আন্দোলন স্থগিত, ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণের ঘোষণা ইশরাক হোসেনের

ঢাকা, ২২ মে, ২০২৫ : অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজধানীর কাকরাইলে চলমান অবস্থান কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনস্থলে এসে তিনি আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের আল্টিমেটাম দিয়ে এ ঘোষণা দেন।  

ইশরাক হোসেন বলেন, “ভুয়া রিট করে আমাকে মেয়র পদে শপথ নিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের রায়ে রিট খারিজের মধ্য দিয়ে বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দ্রুত শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। ঢাকাবাসী আজ তাদের ঐক্য দেখিয়েছেন, আমি তাদের কাছে চিরঋণী থাকব।” তিনি আরও জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “দুই ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। তবে হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির সিদ্ধান্তে আপাতত আন্দোলন স্থগিত করা হলো।” জনদুর্ভোগের জন্য নগরবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি উপদেষ্টা পরিষদে নিরপেক্ষ ব্যক্তি নিয়োগের আহ্বান জানান।
এর আগে, দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে ইশরাক লিখেন, “আন্দোলনকারী ভাইদের বলব, এসব মুলা দিয়ে গাধা বশ করা যায়, আমাদের না। দুই ছাত্র প্রতিনিধির পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। রাস্তা ছাড়বেন না, আরও বিস্তৃত করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথে বাধা দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেন। এর ফলে ইশরাকের শপথে কোনো আইনি বাধা থাকল না। তবে, তার সমর্থকরা দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন।
থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টেলিফোনে বলেন, “উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে।” তিনি নেতাকর্মীদের সড়ক অবরোধ না করার আহ্বান জানান। এর কয়েক ঘণ্টা পর ইশরাক আন্দোলন স্থগিত করলেও দাবিতে অটল থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.