Friday, May 16, 2025

ফারাক্কা লং মার্চ দিবসে আব্দুল মঈন খান: ভারতের সঙ্গে সব অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে

ঢাকা, ১৬ মে ২০২৫: ফারাক্কা লং মার্চ দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় গণসমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের সঙ্গে সম্পাদিত সব অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে। 

ভারতের পানি আগ্রাসন নীতি রুখতে সর্বত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি) ও বাংলাদেশ ফারাক্কা কমিটি যৌথভাবে এই গণসমাবেশের আয়োজন করে।

গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আব্দুল মঈন খান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন আইএফসি, নিউইয়র্কের চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান। এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর সরাফত আলী সপু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ভারত সরকার আন্তর্জাতিক পানি বণ্টন চুক্তি লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের ৩৬টি আন্তঃসীমান্ত নদীর ওপর ৫৪টি অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করেছে। এর ফলে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের নদীগুলো শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে, কৃষকরা চাষাবাদে ব্যাঘাত পাচ্ছেন এবং জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। বর্ষায় বাঁধের গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে বন্যায় ডুবিয়ে মারার পরিকল্পনা করছে ভারত। তিনি ভারতের এই পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বত্র প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু বলেন, ১৯৭৬ সালে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ফারাক্কা লং মার্চে লাখো মানুষ অংশ নিয়েছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই ইস্যুটি জাতিসংঘে উত্থাপন করেছিলেন। তিনি জানান, প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা বা যুদ্ধের মাধ্যমে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করা হবে।
গণসমাবেশে মওলানা ভাসানীর দৌহিত্র আজাদ খান ভাসানী বলেন, “দিল্লির দাসত্ব মেনে নেওয়া যায় না। যুদ্ধ করে হলেও পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করব।” সমাবেশ থেকে ভারত সরকারের প্রতি ফারাক্কা বাঁধসহ সব অবৈধ বাঁধ সরিয়ে বাংলাদেশকে পানির ন্যায্য হিস্যা দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.