Tuesday, May 27, 2025

বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট বিক্রিতে জটিলতা, সমর্থকদের মধ্যে হতাশা

খেলাধুলা, ২৭ মে ২০২৫ : আসন্ন বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচকে ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা তুঙ্গে থাকলেও, টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়ায় বারবার জটিলতার কারণে সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) অনলাইনে টিকিট বিক্রির ঘোষণা দিলেও, টিকিটপ্রার্থীদের দীর্ঘ অপেক্ষা এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে অনেকেই টিকিট পাননি।

টিকিট বিক্রির জন্য বাফুফে টিকিফাই নামক একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সাহায্য নিয়েছে। কিন্তু টিকিফাইয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সমর্থকদের ২০ মিনিট থেকে শুরু করে কখনো কখনো আধ ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এমনকি অনেকে দীর্ঘ অপেক্ষার পরও টিকিট কিনতে ব্যর্থ হয়েছেন। গত শনিবার (২৪ মে) রাতে টিকিফাইয়ের ওয়েবসাইট সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে বাফুফে, এবং এই ঘটনার জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে।
শনিবার রাত থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও, অধিকাংশ সমর্থক টিকিট কিনতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। সোমবার (২৬ মে) রাত ১০টার পর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে দর্শকদের সামনে একটি বার্তা প্রদর্শিত হয়, যেখানে বলা হয়, “আপনি এখন লাইনে আছেন। আপনার ধৈর্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার আনুমানিক অপেক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা ৮ মিনিট।” এমন পরিস্থিতিতে অনেক ফুটবলপ্রেমী কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাননি।
গতরাতে বাফুফে তাদের ফেসবুক পেজে টিকিট বিক্রি পুনরায় শুরুর ঘোষণা দিলেও, সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক নয়। জাহিদ হাসান নামে একজন সমর্থক ফেসবুকে লিখেছেন, “আপনারা রসিকতা শুরু করেছেন। ২ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করলাম কিন্তু টিকিট কাটতে পারলাম না।”
বাফুফের কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাইবার হামলা এড়াতে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “মানুষের কষ্ট হলেও এভাবে টিকিট পাচ্ছেন তারা। বাকি ক্যাটাগরির টিকিটও শিগগিরই অনলাইনে ছাড়া হবে।”
আগামী ১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ। চার বছর পর নতুনভাবে সাজানো জাতীয় স্টেডিয়ামে হামজা চৌধুরী, শমিত সোম এবং ফাহমিদুল ইসলামের মতো তারকা ফুটবলারদের খেলা দেখার সুযোগ থাকায় দর্শকদের আগ্রহ আকাশচুম্বী। তবে টিকিট বিক্রির এই জটিলতা সমর্থকদের উৎসাহে ভাটা পড়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে।
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.