রংপুর, ২৯ এপ্রিল ২০২৫: রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবু বকর সিদ্দীককে এক রোহিঙ্গা নারী উম্মে কলিমাকে জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদানের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই বরখাস্তের বিষয়টি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৪)(খ)(ঘ) ধারার অধীনে সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল ২০২৫) রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশে বলা হয়, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শেখ আবু বকর সিদ্দীককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া, তাকে একটি কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, কেন তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হবে না, সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপন প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রংপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে লিখিত জবাব দিতে হবে।
এর আগে, গত ১৭ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি শাখা-১-এর সিনিয়র সহকারী সচিব তৌহিদ এলাহী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ আবু বকর সিদ্দীক বলেন, “আমি কোনো রোহিঙ্গা নারীকে জন্মনিবন্ধন সনদ দিইনি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।” তিনি দাবি করেন, ২০২২ সালে ইউনিয়ন পরিষদের অফিসিয়াল কম্পিউটারে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বলেও জানান।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, “রোহিঙ্গা নারীর জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরির ঘটনায় দামোদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবু বকর সিদ্দীককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে চিঠি পেয়েছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
এ.আই/এম.আর