আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারত-শাসিত কাশ্মিরে ২৬ জনের প্রাণহানির একটি মর্মান্তিক হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটেছে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও, পাকিস্তান এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, হামলাটি ভারতেরই ‘সাজানো’ ঘটনা।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কাশ্মিরে সাম্প্রতিক এই হামলা একটি “পরিকল্পিত ঘটনা” এবং “ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন”, যার মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। তবে, তিনি এই দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। আসিফ আরও বলেন, কাশ্মিরে সক্রিয় কোনও সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “কাশ্মিরে যা ঘটছে বা কাশ্মিরি কোনও আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের কোনও যোগসূত্র নেই।”
ভারত সরকারের অভিযোগের জবাবে আসিফ বলেন, “আমি ভারত সরকারের অভিযোগ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।” এছাড়া, পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার ভারতের প্রতিক্রিয়াকে “শিশুসুলভ” এবং গুরুত্বহীন বলে সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ভারত প্রতিটি ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং এবারও একই চেষ্টা করছে। দার জানান, পাকিস্তান ভারতের পদক্ষেপের যোগ্য জবাব দেবে।
১৯৮৯ সাল থেকে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চলছে। অনেক কাশ্মিরি মুসলিম বিদ্রোহীদের সমর্থন করেন এবং তারা চান, অঞ্চলটি হয় পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হোক অথবা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক। ভারত এটিকে পাকিস্তান-প্রভাবিত “সন্ত্রাসবাদ” বলে দাবি করে, অন্যদিকে পাকিস্তান এটিকে একটি বৈধ স্বাধীনতাকামী আন্দোলন হিসেবে বর্ণনা করে। এই দীর্ঘ সংঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, বিদ্রোহী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।
দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এবং প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় আরও উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ.আই/এম.আর