২৮ এপ্রিল ২০২৫
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে সহকারী শিক্ষকরা শুরুতে ১২তম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে বেতন পাবেন।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মঞ্জুর আহমদের নেতৃত্বে গঠিত ‘প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়ন পরামর্শক কমিটি’র সুপারিশ এবং উচ্চ আদালতের রায়ের ভিত্তিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রণালয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে, অধিদপ্তরের জনবল কাঠামোতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের উন্নীত বেতন গ্রেড অন্তর্ভুক্ত করে বেতন স্কেল উন্নীতকরণের চেকলিস্ট অনুযায়ী প্রস্তাব জমা দিতে। সম্প্রতি এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে পরামর্শক কমিটি প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শতাধিক সুপারিশসহ সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। কমিটি ‘সহকারী শিক্ষক’ পদ বিলুপ্ত করে প্রবেশপর্যায়ের পদ ‘শিক্ষক’ করার এবং শুরুতে ১২তম গ্রেডে বেতন (মূল বেতন ১১,৩০০ টাকা, অন্যান্য সুবিধাসহ) নির্ধারণের সুপারিশ করে। দুই বছর পর শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ী হবে এবং আরও দুই বছর পর তারা ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হিসেবে ১১তম গ্রেডে উন্নীত হবেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সুপারিশও করা হয়।
উচ্চ আদালতের রায়ে ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় এখন কমিটির সুপারিশ ও আদালতের রায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রস্তাব পাঠাতে হবে, যা পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষক কর্মরত। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে রয়েছে।
এ.আই/এম.আর