সর্বশেষ

Saturday, June 14, 2025

ইরানের দাবি: এক ঘণ্টায় ইসরায়েলের ১০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত

ইরানের দাবি: এক ঘণ্টায় ইসরায়েলের ১০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত

ইরান দাবি করেছে, মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে তারা ইসরায়েলের ১০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এই তথ্য সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।  

ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে এই বিমানগুলো ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে। তবে এই দাবির সত্যতা বা বিস্তারিত তথ্য এখনও স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
এই ঘটনা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে আরও তীব্র করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, যার পাল্টা জবাব হিসেবে ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। .
জেলা পর্যায়ে আইনগত সহায়তার জন্য ৩ বিচারক নিয়োগ দেবে সরকার

জেলা পর্যায়ে আইনগত সহায়তার জন্য ৩ বিচারক নিয়োগ দেবে সরকার

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, স্বল্প খরচে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয় তিনটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে জেলা পর্যায়ে আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য তিনজন বিচারক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।  

শনিবার (১৪ জুন) জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার কার্যালয়ে ‘আইন সহায়তা প্রদান অধ্যাদেশ’-এর প্রাথমিক খসড়ার ওপর মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. আসিফ নজরুল জানান, বর্তমানে দেশের আদালতে ৪৩ লাখ মামলা জমা রয়েছে এবং মামলাজট ক্রমাগত বাড়ছে। ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার সময় মামলার সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৭০ হাজার। এই মামলাজট দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকার তিনটি সংস্কারের উপর জোর দিচ্ছে—দ্রুত ও স্বল্প খরচে মামলা নিষ্পত্তি, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ এবং মানুষকে মামলার অভিশাপ থেকে মুক্তি দেওয়া।
তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর গড়ে ৫ লাখ মামলা দায়ের হয়, কিন্তু লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে মাত্র ৩৫ হাজার মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়। সরকার এখন লিগ্যাল এইডের পরিধি বাড়িয়ে বছরে ১ থেকে ২ লাখ মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রতি জেলায় একজনের পরিবর্তে তিনজন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হবে এবং মামলা নিষ্পত্তির জন্য বেসরকারি জায়গা ভাড়া নেওয়া হবে। এতে মামলা দায়েরের পরিমাণ ৪০ শতাংশ কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্ত ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।
এ.আই/এম.আর
নিহার জোড়া নাটক ঈদে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে

নিহার জোড়া নাটক ঈদে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে

তরুণ অভিনেত্রী নাজনীন নাহার নিহা অভিনয় জগতে তাঁর অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে দর্শকদের মন জয় করেছেন। এবারের ঈদুল আজহায় তাঁর অভিনীত দুটি নাটক ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে, যা তাঁর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার প্রমাণ।

নিহা অভিনীত নাটক ‘আশিকি’ সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে ৮ জুন রাতে মুক্তি পায়। মুক্তির মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নাটকটি দেশের ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষস্থান দখল করে। ইমরোশ শাওন পরিচালিত এই নাটকে নিহার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। এখন পর্যন্ত নাটকটি ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি বার দেখা হয়েছে, যা দর্শকদের মাঝে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তার ইঙ্গিত দেয়।
এদিকে, নিহার আরেকটি নাটক ‘ঘ্রাণ’ ধূপছায়া এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে ১০ জুন মুক্তি পায়। মাশরিকুল আলম পরিচালিত এই নাটকে নিহার সহশিল্পী জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। মুক্তির মাত্র দুই দিনে নাটকটি ৩০ লাখের বেশি ভিউ অর্জন করেছে। ঈদের নাটকের মধ্যে এটি চতুর্থ স্থানে থাকলেও সার্বিক ইউটিউব কনটেন্টের ট্রেন্ডিং তালিকায় এর অবস্থান এখন ৮ নম্বরে।
নিহা তাঁর নাটকগুলোর দর্শকপ্রিয়তা নিয়ে বলেন, “ঈদে আমার অভিনীত ‘আশিকি’ ও ‘ঘ্রাণ’ অনেক দর্শক দেখেছেন এবং ভালোবেসেছেন। আমি এত কম কাজ করি, তারপরও দর্শক আমার নাটক দেখেন; এটি আমার জন্য আশীর্বাদ। দর্শকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণ তারা আমার কাজগুলো গ্রহণ করেছেন।”
এছাড়াও, এবারের ঈদে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে নিলয় আলমগীর ও হিমি অভিনীত ‘কোটি টাকার চেয়ারম্যান’ এবং ইয়াশ রোহান ও মালাইকা চৌধুরী অভিনীত ‘ক্ষতিপূরণ’ নাটক দুটি। এই নাটকগুলো দর্শকদের মাঝে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
নিহার এই সাফল্য তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। অল্প সময়ে তাঁর অভিনয় দক্ষতা এবং দর্শকদের মন জয় করার ক্ষমতা তাঁকে ছোট পর্দার এক উজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিণত করেছে।
এ.আই/এম.আর
বগুড়ায় কিশোরী মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা

বগুড়ায় কিশোরী মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা

বগুড়া, ১৪ জুন ২০২৫: বগুড়া শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় শাকিল আহমেদ (৪০) নামে এক রিকশাচালককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাকিল শহরের শিববাটি শাহি মসজিদ এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাকিল তার কিশোরী কন্যার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। প্রস্তাবকারী ব্যক্তির বয়স বেশি হওয়ায় তিনি বিয়েতে রাজি ছিলেন না। এর জের ধরে শনিবার দুপুরে ১০-১৫ জন বখাটে যুবক শাকিলকে তার ভাড়া বাসা থেকে তুলে নিয়ে ফুলবাড়ী এলাকার করতোয়া নদীর ঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বেদম মারধর করা হয় এবং পরে নদীর ঘাটে ফেলে পালিয়ে যায় তারা।
স্থানীয়রা শাকিলকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ফুলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলমাস আলী জানান, ঘটনার পরপরই দুজন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মেয়ের বিয়েতে অস্বীকৃতির কারণে শাকিলকে মারধর করা হয়। বখাটেরা তাকে চাকুসহ পুলিশে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু গুরুতর আহত হওয়ায় তারা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের একাধিক টিম এলাকায় অভিযান শুরু করেছে।
এ.আই/এম.আর
বন্ধু থেকে চরম শত্রু: ইরান-ইসরায়েল সম্পর্কের রূপান্তর

বন্ধু থেকে চরম শত্রু: ইরান-ইসরায়েল সম্পর্কের রূপান্তর

একসময় ঘনিষ্ঠ মিত্র থাকলেও আজ ইরান ও ইসরায়েল একে অপরের কট্টর শত্রু হিসেবে পরিচিত। তাদের মধ্যকার সম্পর্ক এখন তীব্র বৈরিতা ও পারস্পরিক অবিশ্বাসে ভরা। ইতিহাস বলছে, এক সময় এই দুই দেশের মধ্যে ছিল গভীর কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং সামরিক সহযোগিতা। কিন্তু ভূরাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে এই সম্পর্ক চরম শত্রুতায় রূপান্তরিত হয়েছে।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫০ সালে তুরস্কের পর দ্বিতীয় মুসলিম দেশ হিসেবে ইরান এটিকে স্বীকৃতি দেয়। তখন ইরানে শাসন করছিলেন শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি। তার শাসনামলে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উভয় দেশ একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস স্থাপন করে এবং নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক সফর ও সহযোগিতা চলতে থাকে। ইরান তখন ইসরায়েলকে নিয়মিত তেল সরবরাহ করত। ১৯৫৭ সালে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা ‘সাভাক’ প্রতিষ্ঠিত হলে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এতে সহায়তা করে। মূলত মার্কিন সমর্থন নিশ্চিত করতেই ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী ছিল।
কিন্তু ইরানের জনগণের মধ্যে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব ছিল। ধর্মীয় নেতা ও বামপন্থিরা ইসরায়েলকে ‘অধিকারহীন দখলদার রাষ্ট্র’ হিসেবে বিবেচনা করতেন এবং ফিলিস্তিন ইস্যুতে তাদের অবস্থান ছিল কঠোরভাবে ইসরায়েলবিরোধী। এই জনবিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটে ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে। আয়াতুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে নতুন সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে। তেহরানে ইসরায়েলের দূতাবাসকে ফিলিস্তিন দূতাবাসে রূপান্তর করা হয় এবং ইরান রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব অস্বীকার করে।
এরপর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমশ অবনতির দিকে যায়। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন ইসরায়েলের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে। জবাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যার অভিযোগ ওঠে। আজকের দিনে এসে দুই দেশের বৈরিতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, যুদ্ধ এখন একটি বাস্তব সম্ভাবনা।
বন্ধুত্ব থেকে চরম শত্রুতায় রূপান্তরের এই যাত্রা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে একটি দৃষ্টান্তমূলক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত

এ.আই/এম.আর