সর্বশেষ

Wednesday, July 30, 2025

হচ্ছে নতুন মামলা: চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার রিয়াদের বাসা থেকে সোয়া ২ কোটির চেক উদ্ধার

হচ্ছে নতুন মামলা: চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার রিয়াদের বাসা থেকে সোয়া ২ কোটির চেক উদ্ধার

রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগ নেত্রীর বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদের হেফাজতে থাকা ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় নতুন একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি বলেন, সম্প্রতি গুলশানে সাবেক এক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন। তাদের একজন রিয়াদের বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। গত সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে রিয়াদের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক এবং প্রায় ২০ লাখ টাকার এফডিআরের নথি উদ্ধার করা হয়। এর আগে, ২৬ জুলাই গুলশান-২ নম্বরে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা আনতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার হন। সিদ্দিক আবু জাফরের দায়ের করা মামলায় রিয়াদ ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন—কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন ও শিশু আমিনুল ইসলাম। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাদের আদালতে পাঠায় এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত চারজনের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে রিমান্ডে থাকা চারজন হলেন—আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদ, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও মো. ইব্রাহিম হোসেন। অন্যদিকে, সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাবকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম। তারা সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বহিষ্কৃতদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
উরুগুয়েকে বিধ্বস্ত করে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল

উরুগুয়েকে বিধ্বস্ত করে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল

টানা দশমবার কোপা আমেরিকা ফেমেনিনার ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল, উরুগুয়েকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে। বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, সেমিফাইনালে এই দাপুটে জয়ে রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা তাদের নবম শিরোপার জন্য আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে মাত্র একবার, ২০০৬ সালে আর্জেন্টিনার কাছে শিরোপা হারিয়েছিল ব্রাজিল, যারা ৯ আসরের মধ্যে ৮ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

এই জয় শুধু ফাইনালে ব্রাজিলের জায়গা নিশ্চিত করেনি, বরং ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকের মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্টেও তাদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা) ইকুয়েডরের কুইটোর রদ্রিগো পাস দেলগাদো স্টেডিয়ামে ফাইনালে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।

ম্যাচের প্রথমার্ধেই ব্রাজিল তিন গোল করে এগিয়ে যায়। ১১তম মিনিটে মার্তার ক্রস থেকে আমানডা গুতিয়েরেস হেড করে স্কোরিং শুরু করেন। দুই মিনিট পর জিও গারবেলিনি দ্বিতীয় গোল করেন। ২৬তম মিনিটে মার্তা পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান ৩-০ করেন। দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে উরুগুয়ে একটি আত্মঘাতী গোলের মাধ্যমে ব্যবধান কমায়, যখন ব্রাজিলের ইসা কর্নার ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান। তবে, ৫৮তম মিনিটে উরুগুয়ের ইয়ামিলা মারিয়ানা লাল কার্ড পাওয়ায় ১০ জনের দলে পরিণত হয়, এবং ব্রাজিল আরও দুই গোল যোগ করে জয় নিশ্চিত করে।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে ব্রাজিল তাদের আধিপত্য ধরে রাখতে চাইবে, অন্যদিকে কলম্বিয়া তাদের প্রথম কোপা আমেরিকা শিরোপার জন্য লড়বে
ডিবি পরিচয়ে প্রবাসী পরিবারের কাছ থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

ডিবি পরিচয়ে প্রবাসী পরিবারের কাছ থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে রাজধানীর বনানী কবরস্থান এলাকায় লন্ডনপ্রবাসী একটি পরিবার ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছে। ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকারীরা পরিবারটির কাছ থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার এবং আইফোন ছিনিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় বনানী থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশের বরাতে পরিবারটি জানায়, ছিনতাইকারীরা ১৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার, কিছু নগদ টাকা এবং ডলার নিয়ে গেছে। ছিনতাইকারীরা তাঁদের জিম্মি করে ভয় দেখিয়েছে। ট্রমার কারণে পরিবারটি এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেনি এবং তাঁরা পরিচয় প্রকাশ করতে চান না।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার বলেন, ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন ওই প্রবাসী পরিবারটির মাইক্রোবাস থামায়। সাধারণ পুলিশ যে ধরনের লাইট ব্যবহার করে গাড়ি থামানোর সংকেত দেয়, ছিনতাইকারীরা একই ধরনের লাইট ব্যবহার করে গাড়িটি থামিয়েছিল। এরপর ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের ধারণা, ছিনতাইকারীরা বিমানবন্দর থেকেই পরিবারটিকে অনুসরণ করছিল।
সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র সংস্কারের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চাহিদা চেয়ে চিঠি

সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র সংস্কারের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চাহিদা চেয়ে চিঠি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সংস্কারের জন্য চাহিদা চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চিঠি জারি করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের জন্য আর্থিক বরাদ্দ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের রাজস্ব খাতের পরিচালন বাজেটের আওতায় প্রদান করা হবে।

গত মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মিরাজুল ইসলাম উকিলের সই করা একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিটি সকল জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সংস্কার কার্যক্রমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৩ সালের ২০ মে জারি করা ক্ষুদ্র মেরামত সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। জেলার সকল উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস থেকে নির্ধারিত ছকে তথ্য সংগ্রহ ও একত্রিত করে আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে হার্ডকপি (মূলকপি) এবং সফট কপি (dirplandpe@gmail.com এবং adplandpe@gmail.com ই-মেইলে) পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) বরাবর পাঠাতে বলা হয়েছে। তবে, যেসব ভোটকেন্দ্রে (বিদ্যালয়ে) বর্তমানে মেরামত বা সংস্কারের প্রয়োজন নেই, সেসব বিদ্যালয়ের চাহিদা পাঠাতে নিষেধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় ৪৪ হাজার ভোটকেন্দ্র ছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্র এবং দুই লাখের বেশি ভোটকক্ষ ছিল। দশম সংসদ নির্বাচনে ৩৭,৭০৭টি কেন্দ্র ও ১,৮৯,০৭৮টি ভোটকক্ষ এবং নবম সংসদ নির্বাচনে ৩৫,২৬৩টি কেন্দ্র ও ১,৭৭,২৭৭টি ভোটকক্ষ ছিল।
২০২৬ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্র লাস ভেগাসে, জানাল ইএসপিএন

২০২৬ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্র লাস ভেগাসে, জানাল ইএসপিএন

২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্র আগামী ৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ইএসপিএন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর ১৬টি শহরে ২০২৬ সালের ১১ জুন থেকে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট। এবারই প্রথমবারের মতো ৪৮টি দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে।

ইএসপিএন ও টিউডিএন’মেক্সিকো জানিয়েছে, ড্র অনুষ্ঠানের জন্য কানাডা ও মেক্সিকোর কয়েকটি শহর আলোচনায় ছিল। শেষ পর্যন্ত লাস ভেগাসকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। মেক্সিকোর ক্লাব পাচুকার নির্বাহী ও বিশ্বকাপের দলগুলোর অনুশীলনের জন্য মেক্সিকোকে বেছে নেওয়ার পক্ষে প্রচারণা চালানো পেদ্রো চেদিল্লো সম্প্রতি ইএসপিএনকে বলেন, ‘আমার ভুল না হলে, ৫ ডিসেম্বর কিংবা ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ড্র অনুষ্ঠিত হবে। আমার মনে হয়, এটা ভেগাসেই হবে এবং পাচুকা শহরের তথ্য দিতে আমাদের সেখানে থাকতে হবে।’ ৪টি করে দল নিয়ে মোট ১২টি গ্রুপে ড্র অনুষ্ঠিত হবে। তবে ফিফা এখনো ড্র-এর তারিখ বা স্থান নিশ্চিত করেনি। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্র লাস ভেগাসের কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবার লাস ভেগাসে কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। ইএসপিএন জানিয়েছে, এবার কনভেনশন সেন্টারসহ অন্যান্য কয়েকটি ভেন্যু ৫ ডিসেম্বরের জন্য বুক করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, লাস ভেগাসের ‘স্ফেয়ার’ সেন্টারে ড্র হতে পারে। এই সেন্টারে ৫৪ হাজার বর্গমিটারের স্ক্রিন এবং ১৭ হাজার ৫০০ মানুষের বসার ক্ষমতা রয়েছে। তবে স্ফেয়ার সেন্টারের সূত্র ইএসপিএন ও এএফপিকে জানিয়েছে, সূচির সমস্যার কারণে সেখানে ড্র অনুষ্ঠিত হবে না।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বড় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে, বেড়েছে বিও অ্যাকাউন্ট

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বড় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে, বেড়েছে বিও অ্যাকাউন্ট

ঢাকা, ৩০ জুলাই, ২০২৫ – বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নতুন গতি পাচ্ছে, বড় বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ এবং গত এক বছরে বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) অ্যাকাউন্টের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জানিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমছে বলে কিছু মহলের দাবি থাকলেও, সরকারি তথ্য ভিন্ন চিত্র তুলে ধরছে।

বিএসইসি’র তথ্য অনুযায়ী, ছোট বিনিয়োগকারীরা ধীরে ধীরে পিছু হটলেও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তি এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৪ সালের জুনের তুলনায় ৫০ কোটি থেকে ৫০০ কোটি টাকার পোর্টফোলিওর সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া ৫০ লাখ টাকার উপরে পোর্টফোলিওর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, ১ লাখ টাকার নিচে বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা কমেছে, গত বছরের জুনের ৯,১৬,১৫৭ থেকে এ বছর ৮,৩১,৭৪৮-এ নেমেছে।

মিলিয়নিয়ার বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২৪ সালের জুনে ১ কোটি টাকার উপরে পোর্টফোলিও ধারণকারী বিনিয়োগকারী ছিলেন ১২,৯৯৩ জন, যা এখন বেড়ে ১৩,৩১৬-এ দাঁড়িয়েছে। ৫০ কোটি টাকার উপরে পোর্টফোলিওর সংখ্যা ৬৯৬ থেকে বেড়ে ৭৩৩-এ পৌঁছেছে, এবং ১০০ কোটি টাকার উপরে পোর্টফোলিও ২২টি বেড়েছে। ৫০০ কোটি টাকার উপরে পোর্টফোলিওর সংখ্যা দুটি বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বড় বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদে বাজারের পুনরুদ্ধারে আস্থা রেখে দৃঢ় অবস্থান ধরে রেখেছেন। মতিঝিলের গ্লোবাল সিকিউরিটিজের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আসাদ মিয়া বলেন, “ছোট বিনিয়োগকারীরা বাজারের অস্থিরতায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বড় বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” প্রায় এক দশকের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিনিয়োগকারী তারেক হোসেন বলেন, “ছোট বিনিয়োগকারীরা স্বল্পমেয়াদি লাভের জন্য ঘন ঘন লেনদেন করেন, কিন্তু বড় বিনিয়োগকারীরা শক্তিশালী কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে দীর্ঘ সময় ধরে থাকেন।” গত বছর কোনো বড় মৌলিকভাবে শক্তিশালী কোম্পানির তালিকাভুক্তি না হলেও, পরিস্থিতি পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি কোম্পানির তালিকা প্রস্তুত করছে। তিনি আরও বলেন, “বাজার নজরদারি উন্নত করা গুরুত্বপূর্ণ। শক্তিশালী তদারকি কারসাজি রোধ করবে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনবে।”
ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আবু আহমেদ বলেন, “একটি ভালো কোম্পানি পুরো বাজারের মনোভাব বদলে দিতে পারে। দেশীয় কোম্পানির পাশাপাশি বহুজাতিক কোম্পানিকেও তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।” বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মকসুদ উচ্চ-মানের কোম্পানি তালিকাভুক্তির প্রতিশ্রুতি এবং টাস্কফোর্সের সুপারিশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
সাগরপথে ইউরোপে যাওয়ার শীর্ষে বাংলাদেশ

সাগরপথে ইউরোপে যাওয়ার শীর্ষে বাংলাদেশ

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৯,৭৩৫ জন বাংলাদেশি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে প্রবেশ করেছেন, যার ফলে সাগরপথে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকারী দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে।

ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের তথ্য অনুযায়ী, গত এক যুগে এই পথে অন্তত ৭০,০০০ বাংলাদেশি ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। এই পথে ইতালি যাওয়ার চেষ্টাকারী অনেকেই লিবিয়ার ক্যাম্পে বন্দি হয়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন এবং তাদের পরিবারের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। তবুও এই বিপজ্জনক পথে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা থামছে না।

ব্র্যাক জানায়, এই অভিবাসীদের অধিকাংশের বয়স ২৫ থেকে ৪০ এবং তারা মাদারীপুর, শরীয়তপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জসহ ১০-১২টি জেলার বাসিন্দা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বি� specially ফেসবুক গ্রুপ, এই অভ spännandeণে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতারিত বা নির্যাতিত ব্যক্তিরা দেশে ফিরে মামলা করলেও মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে মানবপাচার আইনে ১,০৩৪টি নতুন মামলা হয়েছে। পুরোনো মামলাসহ মোট প্রায় ৪,৫০০ মামলা ঝুলে আছে, যার মধ্যে ৩,০০০টির বেশি বিচারাধীন এবং ১,০০০টির তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। আগামী বুধবার (৩০ জুলাই) আন্তর্জাতিক মানব পাচার বিরোধী দিবস পালিত হবে। ২০১৩ সালে জাতিসংঘ এই দিনটি ঘোষণা করে। এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো ‘সংঘবদ্ধ অপরাধ মানবপাচার, বন্ধ হোক শোষণের অনাচার’। ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশিরা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছেন। এই পথে অনেকে প্রাণ হারান, এবং লিবিয়ায় ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হন। তাদের ক্যাম্পে বন্দি করে টাকার জন্য পরিবারকে চাপ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “শ্রম অভিবাসনের নামে মানবপাচার একটি ভয়াবহ সমস্যা। পাচারকারীরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পিছিয়ে রয়েছে, এবং মামলাগুলোর বিচার হচ্ছে না। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।” ফ্রন্টেক্সের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশিরা সেন্ট্রাল মেডিটেরিয়ান রুট দিয়ে লিবিয়া থেকে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টায় শীর্ষে রয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই পথে ৯২,৪২৭ জন বাংলাদেশি ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। এই পথে মাঝে মধ্যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ বছরের জানুয়ারিতে লিবিয়ায় ২৩ বাংলাদেশির গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়, যারা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকাডুবির শিকার হন।
ব্র্যাকের গবেষণায় দেখা গেছে, এই অভিবাসীদের অধিকাংশ মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ও কুমিল্লার বাসিন্দা। ৬০% পরিবারকে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখানো হয়, কিন্তু ৮৯% কোনো কাজ পান না এবং ঝুঁকিতে পড়েন।