Friday, September 5, 2025

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী: ডানপন্থী ধনকুবের অনুতিন চার্নভিরাকুল

ডানপন্থী নির্মাণ খাতের ধনকুবের অনুতিন চার্নভিরাকুল থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে তিনি জয়লাভ করেন।

চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায়, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৪৯২ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ৩১১ জনের ভোট পান ভুমজয়থাই পার্টির এই নেতা। এই রক্ষণশীল বিরোধী দলটি পার্লামেন্টের তৃতীয় বৃহত্তম দল।

পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার চালাদ খামচুয়াং বলেন, ‘পার্লামেন্ট অনুতিন চার্নভিরাকুলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে।’ ৫৮ বছর বয়সী অনুতিন এর আগে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে তিনি সম্ভবত ২০২২ সালে গাঁজা বৈধকরণের প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। পর্যটননির্ভর থাইল্যান্ডে কোভিড-১৯ মোকাবিলার সময় তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দোষারোপ করেছিলেন এবং পরে সমালোচনার মুখে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন। ২০২৩ সালের নির্বাচনের পর থেকে শক্তিশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের ফিউ থাই পার্টি দেশটির শীর্ষ পদ দখল করে রেখেছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে আদালতের রায়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে পদচ্যুত করা হয়। অনুতিন একসময় তাঁর জোটকে সমর্থন করলেও গ্রীষ্মে কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের সময় তাঁর আচরণের প্রতিবাদ করে সমর্থন ত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে একমাত্র সাধারণ শত্রু হলো দেশের শত্রু। আমাদের একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে।’ গত ২৯ আগস্ট সংবিধানিক আদালত জানায়, পেতংতার্নের আচরণ মন্ত্রিপরিষদ নীতির লঙ্ঘন। এরপর মাত্র এক বছর শাসনের পর তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। এই পরিস্থিতিতে অনুতিন সর্ববৃহৎ বিরোধী দল পিপলস পার্টির ১৪৩ আসনের সমর্থন পান, তবে শর্ত হিসেবে চার মাসের মধ্যে পার্লামেন্ট ভেঙে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানাতে হবে।
উল্লেখ্য, পেতংতার্ন গত জুনে কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন, যা আদালত নৈতিকতা লঙ্ঘন বলে রায় দেয়। ফোনকলে তিনি থাই সামরিক কমান্ডারদের সমালোচনা করেন এবং আপসমূলক মনোভাব প্রকাশ করেন। পরে তিনি বলেন, তিনি ওই কথোপকথনের মাধ্যমে কূটনৈতিক সাফল্য অর্জনের চেষ্টা করছিলেন।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.