কেপি শর্মা ওলি সরকারের দুর্নীতি এবং ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার সাম্প্রতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নেপালে তীব্র বিক্ষোভের মধ্যে পদত্যাগ করলেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক। জেন-জি তরুণদের নেতৃত্বাধীন এই বিক্ষোভে অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার পর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুসারে।
একই দিন নেপালি কংগ্রেসের পদাধিকারীদের এক সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়টি উত্থাপিত হয়। কংগ্রেস নেতারা ঘটনার দায় স্বীকার করে তার পদত্যাগ করা উচিত বলে দাবি তোলেন।
নেতারা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ব্যাপক মানবিক হতাহতের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপর সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগের প্রস্তুতি দেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়েছিল। তরুণরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে এবং জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় এবং সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। বিক্ষোভ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
বিক্ষোভকালে অনলাইনে প্রচারিত ভিডিও এবং ছবিতে দেখা গেছে, অনেক আন্দোলনকারী স্কুল ও কলেজের পোশাক পরে মিছিলে যোগ দিয়েছে। তারা পুলিশের দিকে ডালপালা এবং পানির বোতল নিক্ষেপ করছে। তাদের হাতে ছিল 'স্বাধীন কণ্ঠস্বর আমাদের অধিকার' এবং 'করদাতাদের টাকা কোথায় গেল?' স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড।
এই বিক্ষোভকে দুই দশকের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী বলে বর্ণনা করা হয়েছে, যাতে কাঠমান্ডুতে একাই ১৭ জন এবং ইটাহারিতে ২ জন নিহত হয়েছে, এবং ৪০০-এর বেশি আহত হয়েছে। কাঠমান্ডু, বুটওয়াল, ভৈরাহাওয়া এবং ইটাহারি সহ বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.