Monday, September 8, 2025

বাগেরহাটে চলছে হরতাল, ডিসিকে কার্যালয়ে প্রবেশে বাধা, নির্বাচন অফিসে তালা

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি করার চূড়ান্ত গেজেটের প্রতিবাদে সকাল থেকে হরতাল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

জানা গেছে, জেলার প্রধান প্রধান সড়ক ও অন্তত ২০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গাছের গুঁড়ি, গাড়ি ও বেঞ্চ ফেলে সড়ক অবরোধ করেছেন নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে বাগেরহাট মহাসড়কের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের দশানী, নওয়াপাড়া, কাটাখালি, মোল্লাহাট সেতু, বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাজার, খুলনা-মোংলা মহাসড়কে মোংলা বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ চলছে।

হরতালের অংশ হিসেবে নেতাকর্মীরা সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা নির্বাচন অফিসের প্রধান ফটকে তালা মেরে দেয়। পরে মিছিলসহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আসেন নেতাকর্মীরা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটকে সামনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. ফকরুল হাসানের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। পরে তিনি হেঁটে নিজ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। নেতাকর্মীরা এসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। ৯টার দিকে জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসানকে তার কার্যালয়ে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। পরে তিনি নিজের অফিসে প্রবেশ না করে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সকাল থেকে এসব কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম.এ. সালাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মুজাফফর রহমান আলম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা রেজাউল করিম, সেক্রেটারি শেখ মুহাম্মদ ইউনুস, বিএনপি নেতা ফকির তারিকুল ইসলামসহ নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন ছিল। কিন্তু গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব দেয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটে চারটির পরিবর্তে তিনটি আসন থাকবে। সেই সিদ্ধান্তের পর থেকেই জেলাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। একের পর এক কর্মসূচি ঘোষণা করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় বাগেরহাটের নেতাকর্মীরা।
তবে শেষ পর্যন্ত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন বহাল রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এর প্রতিবাদেই সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকে আজকের হরতাল ও সড়ক অবরোধ পালিত হচ্ছে।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.