কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. সুলতানা পারভীন, যিনি সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কারাগারে ছিলেন, তিনি ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ সুমনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার তাঁর জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ এ জামিন মঞ্জুর করেন।
তাঁর আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ জানিয়েছেন, সুলতানা পারভীনের কারামুক্তিতে এখন কোনো আইনি বাধা নেই।
এর আগে, ২ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে সুলতানা পারভীন জামিনের আবেদন করেন। সেদিন বিচারক মোছাম্মৎ ইসমত আরা বেগম তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর তিনি হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেন। মঙ্গলবার এ আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
আদালতে জামিন আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মো. রুহুল কুদ্দুস এবং আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ। বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।
পরে আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘রুলে বলা হয়েছে, কেন আবেদনকারীকে (সুলতানা পারভীন) নিয়মিত জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।’
ঘটনাটি ২০২০ সালের ১৩ মার্চ রাতে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বাসায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় ঘটে। প্রশাসনের একটি পুকুরের নামকরণ ও বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে তাঁকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে নির্যাতন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যার হুমকি ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পরে আরিফুলের বিরুদ্ধে আধা বোতল মদ ও ১৫০ গ্রাম গাঁজা রাখার অভিযোগে তাৎক্ষণিক এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় সাবেক ডিসি ছাড়াও তৎকালীন আরডিসি নাজিম উদ্দিন, এনডিসি রাহাতুল ইসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনাটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। পরে আরিফুল ইসলাম জামিনে মুক্তি পান এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি গত পাঁচ বছর ধরে চলছে।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.