কক্সবাজার সৈকতে লাবণী পয়েন্টে গোসলে নেমে নিখোঁজের প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর পর্যটক জুহায়ের আয়মানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত আয়মান জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিমের ভাতিজা বলে জানা গেছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতিপাড়া সৈকতে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজের প্রায় ১৬ ঘণ্টার মাথায় মরদেহটি উদ্ধারের পর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সী সেইফ লাইফগার্ডের সিনিয়রকর্মী মোহাম্মদ ওসমান।
নিহত জুহায়ের আয়মান (১৭) বগুড়া সদরের বগুড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাটনাপাড়ার বাসিন্দা মো. শরিফুল ইসলাম ও মনিরা সুলতানা দম্পতির ছেলে।
সী সেইফ লাইফগার্ডের সিনিয়রকর্মী ওসমান জানান, রোববার বেলা ৩টার দিকে লাবণী পয়েন্ট সৈকতে গোসলে নেমে তিন পর্যটক হঠাৎ স্রোতে ভেসে যাচ্ছিলেন। অন্য পর্যটকদের চিৎকারে রেসকিউ বোটের সহযোগিতায় সী সেইফ লাইফগার্ড কর্মীরা দু'জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। কিন্তু আয়মান নিখোঁজ হন। এরপর দমকলবাহিনী, বিচকর্মী, সী সেইফ লাইফগার্ডরা নানাভাবে রাত ১২টা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও তাকে পেতে ব্যর্থ হন।
তিনি আরও জানান, সোমবার সকালে সমিতিপাড়া এলাকা থেকে খবর আসে সেখানকার সৈকত পয়েন্টে একটি মরদেহ ভেসে এসেছে। সী সেইফ লাইফগার্ডের স্থানীয় সদস্যরা এলাকাবাসীর সহায়তায় মরদেহটি তীরে তুলে আনে। নিখোঁজের স্বজনরা আয়মানের বলে শনাক্ত করেছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজিম খান জানান, মরদেহটি শনাক্তের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে সদর হাসপাতালে আনা হয়। পরিবারের কাছ থেকে জেনেছি এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে স্বপরিবারে বগুড়া থেকে তারা ঘুরতে এসে অনাকাঙ্ক্ষিত এ দুর্ঘটনায় পড়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, পর্যটকদের উচিত লাল পতাকা উত্তোলিত স্থানে গোসলে না নামা। বিচে নামার ক্ষেত্রে লাইফগার্ড ও বিচকর্মীদের দেখানো স্থানে পর্যটকরা নামতে পারেন।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.