নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসপার ফেল্ডকাম্প ইসরাইলের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব আটকে যাওয়ায় পদত্যাগ করেছেন। এ ঘটনা দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংকটকে আরও গভীর করেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গাজা নগরী ও পশ্চিম তীরের পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ফেল্ডকাম্প আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জোটের অংশীদার ভিভিডি (পিপলস পার্টি ফর ফ্রিডম অ্যান্ড ডেমোক্রেসি) এবং বিবিবি (ফার্মার-সিটিজেন মুভমেন্ট) নতুন কোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করায় তিনি মনে করেন, তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অসম্ভব। ফলে তিনি দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
পদত্যাগের আগে ফেল্ডকাম্প ডাচ সংসদে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘প্রয়োজনীয়’ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি জোটসঙ্গীদের সঙ্গে এ বিষয়ে সমন্বয় করেননি।
ফেল্ডকাম্পের পদত্যাগের পর নিউ সোশ্যাল কনট্রাক্ট (এনএসসি) দল তাদের সব মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে প্রত্যাহার করে নেয়। দলের নেতা ও উপপ্রধানমন্ত্রী এডি ফান হেইজুম বলেন, “ইসরাইলি সরকারের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক চুক্তির লঙ্ঘন করছে। সীমারেখা টানা জরুরি।”
এর ফলে স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় নেতৃত্বহীন হয়ে পড়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কহফের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আরও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। ভিভিডি ও বিবিবি এনএসসি’র এই সিদ্ধান্তকে ‘গর্হিত দায়িত্বজ্ঞানহীনতা’ বলে সমালোচনা করেছে।
শুক্রবার জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) নিশ্চিত করেছে যে, গাজার দুর্ভিক্ষ ইসরাইলি সরকারের পরিকল্পিত পদক্ষেপের ফল। এর আগে জাতিসংঘ-সমর্থিত বৈশ্বিক ক্ষুধা পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইপিসি একই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলের হামলায় গাজায় প্রায় ৬২,৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সামরিক অভিযান এই অঞ্চলকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে এবং দুর্ভিক্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরাইল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) মামলার মুখোমুখি হয়েছে।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.