ঢাকা, ২৩ আগস্ট, ২০২৫ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান সতর্ক করে বলেছেন, আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডিইউসিএসইউ) নির্বাচনে কোনো বাধা সৃষ্টি হলে তিনি পদত্যাগ করবেন এবং জাতির সামনে প্রকাশ করবেন কারা এর জন্য দায়ী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্ল্যাক ডে উপলক্ষে শনিবার টিএসসি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। উপাচার্য জানান, ডিইউসিএসইউ নির্বাচনের প্রতি সারা দেশের মানুষের দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, “যেকোনো পরিস্থিতিতে ডিইউসিএসইউ নির্বাচন আয়োজন করা চ্যালেঞ্জিং। তবে, যদি এটি বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা হয়, আমি পদত্যাগ করব এবং জাতির কাছে প্রকাশ করব কে কী করছে।”
সভায় শিক্ষক, ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উপাচার্য জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে এবং প্রার্থীদের সঙ্গে ইতোমধ্যে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের কোনো স্থায়ী শত্রু নেই। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে সেনাবাহিনী পর্যন্ত সবার সঙ্গে কাজ করছি। আজকের বাস্তবতায় তারা সকলেই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের একটি প্রতিষ্ঠান। তাই আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে পরস্পরের প্রতি সম্মান জানিয়ে এগিয়ে যাব।”
উপাচার্য জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবিচুক অবস্থানের কথা উল্লেখ করে বর্তমান প্রজন্মকে এই ঐতিহ্য ধরে রাখার আহ্বান জানান। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সেনাবাহিনীসহ সকল অংশীদারদের একযোগে কাজ করে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার আহ্বান জানান।
ব্ল্যাক ডে পালনের মধ্যেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এ বছর মোট ৫০৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, যার মধ্যে ৪৬২টি বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রার্থীরা ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। চূড়ান্ত তালিকা ২৬ আগস্ট প্রকাশিত হবে এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯ সেপ্টেম্বর।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি বছর ব্ল্যাক ডে পালন করে ২০-২৩ আগস্টের ঘটনার স্মরণে, যখন সামরিক সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মকর্তাদের উপর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছিল। এই ঘটনা দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত করেছিল।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.