Tuesday, August 26, 2025

বিশ্বনাথ গ্রামের সেতুতে গুলির ঘটনা: বিক্রমপুর মডেল টাউনের সুপারভাইজার আহত

সিরাজদিখানের বিশ্বনাথ গ্রামের সেতুতে একটি গুলির ঘটনায় জুনায়েত সর্দার (২৩) নামে নিমতলা এলাকার বিক্রমপুর মডেল টাউন আবাসন প্রকল্পের একজন সুপারভাইজার আহত হয়েছেন। জুনায়েতের বাড়ি লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ছাপরি মসজিদ এলাকায়। তিনি ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে ভাড়া বাড়িতে থাকেন।

আবাসন প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে জুনায়েত বাসে তাঁর কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। বেলা ১১টার দিকে অফিস থেকে প্রায় ৩০০ গজ দূরে চরবিশ্বনাথ গ্রামের সেতু এলাকায় বাস থেকে নামেন। সে সময় তাঁর পেছন দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন এসে তাঁকে লক্ষ্য করে তিনটি গুলি ছোড়ে। একটি গুলি তাঁর ডান পায়ে এবং আরেকটি কোমরে লাগে। স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নিমতলা আইডিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী ভ্যানচালক বলেন, “হঠাৎ একটি মোটরসাইকেলে তিনজন লোক এসে ওই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে তিনটি গুলি করে। আমার ভ্যানের সামনের অংশে একটি গুলি লাগে। বাকি দুটি গুলি ওই ব্যক্তির শরীরে লাগে। পরে আমিসহ আরও কয়েকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।” বিক্রমপুর মডেল টাউনের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ হোসেন বলেন, “সকালে অফিসে থাকাকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পারি, আমাদের সুপারভাইজারকে দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে। আমাদের ধারণা, ঢাকা থেকে বাসে আসার সময় তাঁকে অনুসরণ করেছিল দুর্বৃত্তরা।” প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, “আমার জানামতে, জুনায়েতের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কারও কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও কারও কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কারা কী কারণে এমন করেছে, পুলিশ তদন্ত করলে তা বেরিয়ে আসবে।” সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “ওই প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.