Wednesday, July 16, 2025

প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়া যাচ্ছেন ১১ আগস্ট


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ১১ আগস্ট মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছেন। এই দ্বিপক্ষীয় সফরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্ক আরও জোরদার করা এবং অভিবাসন, বিনিয়োগ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা। সফরে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।

১২ আগস্ট মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে এবং তাদের অগ্রাধিকার অনুযায়ী কয়েকটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে।

গত বছরের অক্টোবরে আনোয়ার ইব্রাহিম ড. ইউনূসের আমন্ত্রণে ঢাকা সফর করেছিলেন, যা ছিল ৮ আগস্ট ২০২৪-এ অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের ঢাকা সফর। সেই সফরে অভিবাসন, শ্রমবাজারে স্বচ্ছতা ও নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকরণ, বিনিয়োগ, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, শিল্প সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কৌশলগত সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সূত্র জানায়, এবারের মালয়েশিয়া সফরেও এই বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে এবং এসব খাতে কয়েকটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হতে পারে। দুই দেশের সরকারপ্রধানের বৈঠকে রাজনৈতিক বিষয় বা নির্বাচনের বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে কি না—এমন প্রশ্নে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র কালবেলাকে জানায়, বৈঠকটি দ্বিপক্ষীয় হওয়ায় দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোই প্রাধান্য পাবে। তবে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে রাজনৈতিক বা নির্বাচন ইস্যুতে আগ্রহ থাকলে সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এদিকে, মালয়েশিয়া সফর শেষে ড. ইউনূস ইন্দোনেশিয়া সফরে যেতে পারেন বলে ঢাকাস্থ সংশ্লিষ্ট মিশনের এক কর্মকর্তা কালবেলাকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার ইন্দোনেশিয়া সফর নিয়ে আমাদের আগ্রহ রয়েছে। সফরের এজেন্ডা নির্ধারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ চলছে। তবে তিনি যাবেন কি না, তা আমরা নিশ্চিত করতে পারি না।’ অপর একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ থেকে আগ্রহ থাকায় ড. ইউনূস ১৩ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া যেতে পারেন। বৈঠকের এজেন্ডা স্বাগতিক দেশ নির্ধারণ করবে, এ নিয়ে কাজ চলছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানিতে ঢাকার আগ্রহ রয়েছে। সফরটি হলে জ্বালানি, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়া শিক্ষা (উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি) ও মৎস্য আহরণে এমওইউ স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া ইতিমধ্যে জ্বালানি প্রযুক্তি বিনিময়, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং এলএনজি সরবরাহে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার সম্ভাব্য সফরে যৌথ প্রকল্প, দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহ চুক্তি, ইন্দোনেশীয় বিনিয়োগ, মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং বাংলাদেশি পণ্যের বাজার প্রবেশাধিকার নিয়ে বিস্তৃত আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.