ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ওয়াশিংটন ম্যাক্রোঁর এই পরিকল্পনাকে ‘জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান’ করেছে। তিনি এটিকে এমন একটি পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যা ‘হামাসের প্রোপাগান্ডাকে উসকে দেয় এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে পিছিয়ে দেয়।’
শুক্রবার (২৫ জুলাই) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে রুবিও ম্যাক্রোঁর এই ‘বেপরোয়া সিদ্ধান্তে’র সমালোচনা করেন।
ম্যাক্রোঁ এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতি বজায় রেখে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স। এই বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে আমি এই ঘোষণা দেব।’
জাতিসঙ্ঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে বর্তমানে কমপক্ষে ১৪২টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানিসহ কয়েকটি প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশ এটি করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন গত মে মাসে ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
ম্যাক্রোঁর এই সিদ্ধান্তের ফলে ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং জি-৭ সদস্য ফ্রান্স ইউরোপের বৃহত্তম ও সম্ভবত সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক্সে এক পোস্টে এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করে এবং আরেকটি ইরানি দোসর সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি করে। এই পরিস্থিতিতে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ইসরাইলকে ধ্বংস করার জন্য একটি লঞ্চ প্যাড হবে, শান্তিতে বসবাসের জন্য নয়।’
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন জাতিসঙ্ঘে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়ে আসন্ন সম্মেলনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ সভাপতিত্বে ২৮ থেকে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সম্মেলন কয়েক দশক ধরে চলমান সংঘাতের অবসান এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য একটি রূপরেখা খুঁজবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উপ-মুখপাত্র টমি পিগট বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.