Wednesday, July 16, 2025

গণভবনকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ বানাতে ১১১.১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ

গণভবনকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এ রূপান্তরের জন্য সরকার ১১১ কোটি ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এই বরাদ্দ দরপত্র ছাড়াই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি পেয়েছে মেসার্স শুভ্রা ট্রেডার্স এবং দ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড।

আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জাদুঘরে রূপান্তরের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে যে নির্মাণ বা সংস্কার কাজ প্রয়োজন, তা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সম্পন্ন হবে, অর্থাৎ কোনো দরপত্র ডাকা হবে না। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জাদুঘরের কাজের মধ্যে থাকবে বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক (ইএম) অংশ, যার মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক তার, সুইচ এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক সামগ্রী। এছাড়াও থাকবে পূর্ত অংশ, যা বৈদ্যুতিক-যান্ত্রিক অংশ বাদে অন্যান্য সব কাজকে অন্তর্ভুক্ত করবে। গণভবনকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এ রূপান্তরের সিদ্ধান্ত গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়েছিল। আগামী ৫ আগস্ট এই জাদুঘরের উদ্বোধন হতে পারে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত বিভাগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, মেসার্স শুভ্রা ট্রেডার্স ইএম অংশের কাজ করবে, যার জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি ৮২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। এদিকে, পূর্ত অংশের কাজ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘দ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড’, যার জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ৭০ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের অধীনে পরিচালিত দ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড একটি পুরকৌশল সংস্থা, যা মূলত ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণে কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, যিনি যমুনা ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের সদস্যও।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.