Wednesday, July 23, 2025

এক বছর যেতে না যেতেই পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রের লক্ষণ: অধ্যাপক ইউনূস

ঢাকা, ২৩ জুলাই ২০২৫: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ১৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, এক বছরের মধ্যেই পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যকে আরও দৃশ্যমান করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন, তা না হলে এই শক্তিগুলো এটাকে সুযোগ হিসেবে দেখছে। বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যার পর নেতাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন অধ্যাপক ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে আমাদের পরিকল্পনা ছিল সব রাজনৈতিক দলকে একত্রিত করে অতীতকে স্মরণ করা এবং এ জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করা। এতে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্য দৃশ্যমান হতো। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই পরাজিত শক্তির বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।” প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সব দল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও গণ–ঐক্য অটুট রাখার বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছে। তারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রধান উপদেষ্টাকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান। নেতারা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করতে নিয়মিত সর্বদলীয় সভা আয়োজনের অনুরোধ করেছেন। বৈঠকে অংশ নেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সৈয়দ হাসিবউদ্দিন হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির মজিবুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, গণ অধিকার পরিষদের নুরুল হক, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিসের আহমদ আবদুল কাদের, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) তানিয়া রব, ১২-দলীয় জোটের শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) রুহিন হোসেন প্রিন্স এবং গণফোরামের মিজানুর রহমান।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.