কুয়াকাটা, পটুয়াখালী: পায়রা বন্দরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মহাপরিল্পনা (মাস্টারপ্ল্যান) নিয়ে এক কর্মশালায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, পায়রা বন্দরকে গ্রিন পোর্ট হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। ২০ জুলাই ২০২৫, রোববার, সকাল সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটার একটি হোটেলে আয়োজিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমাদের কোনো বন্দরই আন্তর্জাতিক মানে গড়ে ওঠেনি। এমনকি চট্টগ্রাম বন্দরেরও সেভাবে আন্তর্জাতিক সংযোগ নেই। পায়রা বন্দর নতুন, আমরা এটির উন্নয়নে কাজ করছি। নতুন সরকার এটির কার্যক্রম এগিয়ে নেবে। আমি এ বন্দরের জন্য তহবিল নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।”
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের (পিপিএ) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবাল স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ২০২৬ সালের জুলাই থেকে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হবে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল এবং নেদারল্যান্ডসের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রয়েল হাসকনিংডিএইচভি কয়েক বছর ধরে কাজ করে এই মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বন্দরটি দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে বন্দরটি রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে নিজস্ব সক্ষমতা অর্জন করবে।
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রয়েল হাসকনিংডিএইচভির দলনেতা এবং আন্তর্জাতিক বন্দর পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞ মেনো মুইজ মাস্টারপ্ল্যান উপস্থাপন করে বলেন, পায়রা বন্দরের সম্ভাবনা মংলা বন্দরের চেয়ে বেশি। ২০২৬ সালের মধ্যে এর প্রথম টার্মিনাল পুরোপুরি ব্যবহারের উপযোগী হবে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য লাভজনক হবে।
বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ২০২৩ সালে মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা প্রয়োজনে পরিবর্তনযোগ্য। নতুন বন্দর হওয়ায় এটিকে গভীর সমুদ্রবন্দর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। পুরোপুরি সচল হলে এটি লাভজনক হবে।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) কমোডর মোহাম্মদ আবদুল কাদের একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করে বলেন, ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাকৃতিক রাবনাবাদ চ্যানেলের কারণে বন্দরটিতে বড় জাহাজ সহজে ভিড়তে পারবে।
কর্মশালার দ্বিতীয় অধিবেশনে অংশীজনেরা মাস্টারপ্ল্যান ও বন্দরের অগ্রগতি নিয়ে মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন।
Sunday, July 20, 2025
Author: DhakaGate Desk
Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.
এ সম্পর্কিত আরও খবর
- ব্লগার মন্তব্
- ফেইসবুক মন্তব্য