Tuesday, July 15, 2025

শরীয়তপুরে পুলিশ কর্মকর্তার ফুলের মালা পরানোর ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনা


শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মাসুদুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ফুলের মালা পরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গত রোববার এ ঘটনার পর সোমবার ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

পরিদর্শক সুরুজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, তিনি একটি মামলার বিষয়ে মাসুদুর রহমানের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি মাসুদুরের গলায় থাকা মালাটি ঠিক করে দিচ্ছিলেন, আর সেই মুহূর্তে কেউ ছবি তুলে ফেলেছেন। তবে এই ব্যাখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এর আগে ২০২৩ সালের ১৫ জুন সুরুজ উদ্দিন আহম্মেদ পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় কর্মরত থাকাকালীন সাময়িক বরখাস্ত হন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে একজন ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে ৭২ লাখ টাকার চেক নেওয়ার এবং একটি ছিনতাই মামলার চার আসামিকে আহত করার অভিযোগ উঠেছিল। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁর বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয় এবং ২০২৫ সালের ২৫ মার্চ তাঁকে নড়িয়া থানায় বদলি করা হয়। সম্প্রতি তাঁকে আওয়ামী লীগের এক নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে একটি রেস্তোরাঁয় জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা গেছে। নড়িয়া পৌরসভার শুভগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মাসুদুর রহমান ওরফে রিপন পেদা জার্মানপ্রবাসী। তিনি গত ৭ জুলাই দেশে ফিরেছেন। এরপর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা তাঁর বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে যাচ্ছেন। রোববার রাতে সুরুজ উদ্দিন মাসুদুরের বাসায় গিয়ে তাঁর গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেন। এই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ফারুক আলম নামে একজন লেখেন, “মাসুদুর রহমানের একটা গুণ সে থানায় যায় না, থানার ওসি তদন্ত স্যার তার কাছে আসেন শুভেচ্ছা বিনিময় করতে।” মাসুদুর রহমান বলেন, তিনি একটি হত্যা মামলার বিষয়ে সুরুজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি তাঁর বাসায় এসেছিলেন। সেই সময় অনেকে তাঁকে ফুলের মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন, আর সুরুজ উদ্দিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্যা বলেন, “কোনো কর্মকর্তা এভাবে ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপন করে জনসমক্ষে কাউকে ফুলের মালা পরিয়ে দিতে পারেন না। এটা চাকরিবিধির পরিপন্থী এবং নিরপেক্ষতা হারানোর শামিল।” তিনি জানান, ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.