হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ফেসবুকে লেখালেখি নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ফারুক তালুকদার (৪২) নামে এক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। সোমবার বিকেলে উপজেলা সদরে ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষের সময় টায়ার জ্বালিয়ে পৌর শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। সংঘর্ষে প্রায় শতাধিক মানুষ আহত এবং বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ হস্তক্ষেপ করে এবং উপজেলা প্রশাসন শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে, যা মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
নিহত ফারুক তালুকদার তিমিরপুর গ্রামের আওয়াল তালুকদারের ছেলে এবং পেশায় অ্যাম্বুলেন্সচালক ছিলেন। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ফারুককে সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। তাকে প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সোমবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুর এলাকায় তিনি মারা যান। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
নিহত ফারুকের বাবা আওয়াল তালুকদার বলেন, “আমার ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট নেওয়ার পথে সে মারা গেছে।”
সোমবার দুপুরে উভয় গ্রামের লোকজন ঘোষণা দিয়ে লাঠিসোঁটা ও দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হন। বিকেলে উপজেলা সদরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যেখানে ইটপাটকেল, বল্লম ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।