Tuesday, July 8, 2025

নবীগঞ্জে ফেসবুকে লেখালেখি নিয়ে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু, শহরে ১৪৪ ধারা জারি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ফেসবুকে লেখালেখি নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ফারুক তালুকদার (৪২) নামে এক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। সোমবার বিকেলে উপজেলা সদরে ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষের সময় টায়ার জ্বালিয়ে পৌর শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। সংঘর্ষে প্রায় শতাধিক মানুষ আহত এবং বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ হস্তক্ষেপ করে এবং উপজেলা প্রশাসন শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে, যা মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

নিহত ফারুক তালুকদার তিমিরপুর গ্রামের আওয়াল তালুকদারের ছেলে এবং পেশায় অ্যাম্বুলেন্সচালক ছিলেন। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ফারুককে সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। তাকে প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সোমবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুর এলাকায় তিনি মারা যান। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুলাই ফেসবুকে একে অপরের বিরুদ্ধে লেখালেখি নিয়ে আনমুন গ্রামের গণমাধ্যমকর্মী আশায়েদ আলীকে তিমিরপুর গ্রামের গণমাধ্যমকর্মী সেলিম তালুকদার ও তাঁর লোকজন মারধর করেন বলে অভিযোগ। এ সময় আনমুন গ্রামের বাসিন্দারা হামলাকারীদের মধ্য থেকে দুই তরুণকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় তিমিরপুর গ্রামের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে তিন দিন আগে আনমুন গ্রামের লোকজনের সঙ্গে মারামারিতে জড়ান।
নিহত ফারুকের বাবা আওয়াল তালুকদার বলেন, “আমার ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট নেওয়ার পথে সে মারা গেছে।”

সোমবার দুপুরে উভয় গ্রামের লোকজন ঘোষণা দিয়ে লাঠিসোঁটা ও দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হন। বিকেলে উপজেলা সদরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যেখানে ইটপাটকেল, বল্লম ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.