উত্তর গাজায় ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা, ২০ জুলাই ২০২৫। ছবি: রয়টার্স |
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, গত রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক সহায়তা নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালিয়েছে, যাতে ৯৩ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। পোপ লিও চতুর্দশ গাজার যুদ্ধের বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শান্তির আহ্বান করেছেন।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, তাদের ২৫টি খাদ্যবাহী ট্রাকের বহর গাজা সিটির কাছে পৌঁছালে ক্ষুধার্ত মানুষের বিশাল ভিড় জমে। ইসরায়েল থেকে প্রবেশ ও চেকপোস্ট পার হওয়ার পরপরই এই ভিড়ের মধ্যে গুলি চালানো হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিহতের সংখ্যা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বলেছে, গাজা সিটির কাছে হাজারো মানুষ জড়ো হওয়ায় সেনারা ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ মোকাবিলায় সতর্কতামূলক গুলি চালায়। ত্রাণ সংগ্রহের সময় বেসামরিক মানুষের মৃত্যু এখন গাজায় নিয়মিত ঘটনা। কর্তৃপক্ষ বলছে, খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র সংকটের কারণে মানুষ ত্রাণকেন্দ্রে ভিড় করছেন, এবং সেখানে ইসরায়েলি গুলিতে প্রাণহানি ঘটছে। জাতিসংঘের হিসাবে, গত মে মাসের শেষ থেকে প্রায় ৮০০ ত্রাণপ্রত্যাশী নিহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে হামলার পর গাজা যুদ্ধ শুরু হয়, যাতে ১,২১৯ জন, বেশিরভাগ বেসামরিক, নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। জবাবে ইসরায়েল গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে, যাতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ৫৮,৮৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাঁদের অধিকাংশই বেসামরিক
গত বৃহস্পতিবার গাজা সিটির হলি ফ্যামিলি গির্জায় আশ্রয় নেওয়া তিনজনের নিহত হওয়ার ঘটনায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পোপ লিও চতুর্দশের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন, দাবি করে যে এটি ভুলবশত ছোড়া গোলাবারুদের ফল। গির্জাটিতে প্রায় ৬০০ স্থানচ্যুত মানুষ, বেশিরভাগ শিশু ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি, আশ্রয় নিয়েছিলেন।
*তথ্যসূত্র: রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান, ফার্স্টপোস্ট, বিবিসি*