Friday, July 25, 2025

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় দিনেও তীব্র সংঘর্ষ

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে, যা গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ শুরুর জন্য উভয়পক্ষ একে অপরকে দায়ী করেছে। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিরোধ চলছে।

থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার (২৫ জুলাই) ভোরের আগে কম্বোডিয়ার বাহিনী থাইল্যান্ডের উবন রাতচাথানি এবং সুরিন প্রদেশে রাশিয়ার তৈরি বিএম-২১ রকেট সিস্টেম এবং ভারী কামান ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। জবাবে, থাই সেনাবাহিনী ‘যথাযথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ নিয়েছে। এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষ প্রায় ১৩০ মাইল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং কমপক্ষে ছয়টি এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও, উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে।

থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এক লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। শুক্রবার ভোরে থাইল্যান্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে পৌঁছেছে, যার মধ্যে ১৪ জন বেসামরিক নাগরিক, বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এছাড়াও, ১৫ জন সৈন্যসহ ৪৬ জন আহত হয়েছেন। কম্বোডিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার এখনো হতাহত বা নাগরিক সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে, ওদ্দার মেঞ্চি প্রদেশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, একজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। প্রায় ১,৫০০ পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সংঘর্ষটি ছোট অস্ত্রের গুলি বিনিময়ের মাধ্যমে শুরু হলেও, এটি ভারী গোলাবর্ষণে রূপ নিয়েছে। প্রাচীন প্রাসাত তা মুয়েন থম মন্দিরের মতো ঐতিহাসিক স্থানগুলোর আশপাশে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে শতাব্দী প্রাচীন বিরোধের কারণে এই সংঘাতের সূত্রপাত।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.