বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য রফতানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে নতুন বাণিজ্য সুযোগ উন্মুক্ত করতে, ব্যবসাবান্ধব সংস্কারে সহায়তা দিতে এবং ইউকে ক্রেতাদের সাথে উচ্চমানের বাংলাদেশী পণ্যের সংযোগ স্থাপনে কাজ করছে।’
সোমবার (২৮ জুলাই, ২০২৫) ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদিন হাইকমিশনার সারাহ কুক এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লৎফে সিদ্দিকী ঢাকার কাপকেক এক্সপোর্টস নামে একটি সফট টয় উৎপাদনকারী কারখানা পরিদর্শন করেন, যা যুক্তরাজ্যে পণ্য রফতানি করে।
হাইকমিশনার বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস)-এর আওতায় কাপকেক এক্সপোর্টসের মতো বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান শূন্য শুল্কে যুক্তরাজ্যের বাজারে রফতানি করতে পারছে। এতে যুক্তরাজ্যের ভোক্তারাও কম দামে পণ্য পাচ্ছেন।’
হাইকমিশনার ও বিশেষ দূত খেলনার উৎপাদন প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করেন এবং কর্মী ও ব্যবস্থাপনার সাথে মতবিনিময় করেন। তারা বাংলাদেশের রফতানি ঝুঁকি হ্রাস এবং যুক্তরাজ্যের বাজারে প্রবেশের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন পণ্যের রফতানিকারকরা দেশে নীতিগত ও প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতা এবং নতুন বাজারে প্রবেশে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। এ প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ সরকারকে ব্যবসা সহজীকরণ ও রফতানি পরিবেশ উন্নয়নে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।
হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশকে রফতানি বৃদ্ধি ও বৈচিত্র্য আনতে যুক্তরাজ্য ভবিষ্যতেও সহায়তা অব্যাহত রাখবে। ইউকে ক্রেতাদের সাথে বাংলাদেশী রফতানিকারকদের সংযুক্ত করতে কাজ চলবে।
ডিসিটিএস স্কিমটি ২০২৩ সালের জুনে চালু হয় এবং এটি বিশ্বের অন্যতম উদার বাণিজ্য সুবিধা প্রদানকারী স্কিম। এ স্কিমে ২০২৯ সাল পর্যন্ত অস্ত্র ব্যতীত বাংলাদেশের সব রফতানির জন্য যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্ধিত অগ্রাধিকার স্তরের আওতায় বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ রফতানি ২০২৯ সালের পরও যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত থাকবে, যার মধ্যে তৈরি পোশাক খাতও অন্তর্ভুক্ত।