এছাড়াও, আদালত সম্রাটের জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
অভিযোগ গঠনের জন্য নির্ধারিত দিনে সম্রাট আদালতে হাজির হননি। তার আইনজীবী অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময়ের আবেদন করেন। অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগ গঠনের আবেদন করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন এবং তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত ২৫ জানুয়ারি অস্ত্র আইনের মামলায় একই আদালত সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন এবং সেই মামলায়ও তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলম ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর দুদক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে, এবং সম্রাট আত্মগোপন করেন। পরে ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। সেদিন বিকেলে সম্রাটকে সাথে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে গুলিসহ একটি বিদেশী পিস্তল, ১ হাজার ১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশী মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়া যায় বলে র্যাব জানায়।
২০২২ সালের ১০ এপ্রিল থেকে ১১ মে’র মধ্যে সম্রাট চারটি মামলায় জামিন পান।