Thursday, July 24, 2025

থাইল্যান্ডে ব্যাপক হামলা চালাল কম্বোডিয়া, নিহত ১২

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত, যুদ্ধ, সীমান্ত সংঘাত

থাইল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে কম্বোডিয়া। এতে একটি হাসপাতালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, দুই দেশের সীমান্তে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। খবর আল জাজিরার।

থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমসাক থেপসুথিন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের সহিংসতায় ১১ জন থাই বেসামরিক নাগরিক এবং একজন সৈন্য নিহত হয়েছে। থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৮ বছর বয়সী একটি শিশুও রয়েছে। অন্তত তিনটি এলাকায় কম্বোডিয়ার গোলাবর্ষণের শিকার হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালে আক্রমণসহ কম্বোডিয়ার কর্মকাণ্ডকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।

তথ্যমতে, সিসাকেট প্রদেশের কান্থারালাক জেলার বান ফু শহরে, সীমান্ত থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) দূরে একটি পেট্রোল স্টেশনে কম্বোডিয়ান সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। সুরিন প্রদেশের কাবচিংয়ের জেলা প্রধান সুথিরোট চারোয়েন্থানাসাক রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কম্বোডিয়ান গোলাবর্ষণে একটি বাড়িতে আঘাত হানার পর দুজন নিহত হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, জেলা কর্তৃপক্ষ সীমান্তের কাছের ৮৬টি গ্রাম থেকে প্রায় ৪০,০০০ বেসামরিক নাগরিককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। শিশু, বয়স্ক ও নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুরক্ষিত বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কিছু থাই বাসিন্দা কংক্রিট, বালির বস্তা ও গাড়ির টায়ার দিয়ে তৈরি অস্থায়ী বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে, কম্বোডিয়ার ছোড়া রকেট হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে সীমান্তের ওপারে আঘাত হেনেছে।

বৃহস্পতিবার ভোরে সীমান্তের বিতর্কিত অঞ্চলে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির পর পরিস্থিতি চরমে পৌঁছায়। থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের একটি যুদ্ধবিমান কম্বোডিয়ার ভেতরে ঢুকে গোলাবর্ষণ করেছে এবং সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে থাই বাহিনী জানিয়েছে, কম্বোডিয়ার ‘স্পেশাল মিলিটারি রিজিয়ন কমান্ডস ৮ ও ৯’-এর ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.