দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির বিরুদ্ধে প্রায় ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ১২.৫ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।
রোববার (২৭ জুলাই) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ববি তার নামে ২ কোটি ৮৯ লাখ ৩ হাজার ৩৫৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন। এর মধ্যে ৩৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ২ কোটি ৪৯ লাখ ১৯ হাজার ৬০৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এছাড়া, ঢাকার নিকেতন এলাকায় চাচা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের কাছ থেকে দান হিসেবে পাওয়া একটি ফ্ল্যাটের মূল্য ১ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এজাহারে বলা হয়, কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য না থাকা সত্ত্বেও ববি তিনটি ব্যাংক হিসাবে ৭ কোটি ৪৮ লাখ ৩২ হাজার ৫৭৮ টাকা জমা করেছেন, যার মধ্যে ৫ কোটি ৭ হাজার ৯৭১ টাকা উত্তোলন করেছেন। এই লেনদেন তার বৈধ আয়ের তুলনায় অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, ববি এবং তার বাবা ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিকের নামে থাকা ৩৫৪ শতাংশ জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত, যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৯৫ লাখ ৭ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ।
আবেদনে বলা হয়, ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চলমান অনুসন্ধানে জানা যায়, তারা তাদের মালিকানাধীন স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ হস্তান্তর হলে তদন্তে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.