Thursday, July 17, 2025

সশস্ত্র ব্যক্তিরা হাসপাতালে ঢুকে খুন করল অসংখ্য খুনের মামলার আসামিকে


১৭ জুলাই, ২০২৫, বিহারের পাটনার একটি হাসপাতালে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সশস্ত্র কয়েকজন ব্যক্তি। তারা হাসপাতালে ঢুকে এক রোগীর কেবিনে গিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করেছে এবং পরে পালিয়ে গেছে। এটি কোনো সিনেমার দৃশ্য নয়, বরং বিহারের ভয়াবহ বাস্তবতা।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বন্দুকধারীরা অস্ত্র বের করে কেবিনের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকছে এবং গুলি চালানোর পর পালিয়ে যাচ্ছে। গুলিবিদ্ধ চন্দন মিশ্র নামের ওই ব্যক্তি মারা যান। মিশ্র একজন কুখ্যাত অপরাধী ছিলেন, যার বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা ছিল। চিকিৎসার জন্য তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি পাটনার পরস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পুলিশ সন্দেহ করছে, প্রতিপক্ষ চন্দন শেরু গ্যাং এই হামলার পেছনে রয়েছে

পাটনার পুলিশ প্রধান কার্তিকায় শর্মা বলেন, “বক্সার জেলার বাসিন্দা চন্দন মিশ্রর নামে কয়েক ডজন খুনের মামলা ছিল। তাকে বক্সার থেকে ভাগলপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল। চিকিৎসার জন্য তিনি পরস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। প্রতিপক্ষ গ্যাং তাকে গুলি করে, এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বক্সার পুলিশের সহযোগিতায় হামলাকারীদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। পুলিশ তদন্ত করছে, হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না। এই ঘটনা পাটনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আবারও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে পাটনায় ব্যবসায়ী গোপাল খেমকা, বিজেপি নেতা সুরেন্দ্র কেওয়াত ও আইনজীবী জিতেন্দ্র মাহাতোর খুনের ঘটনা উল্লেখযোগ্য। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ-বিজেপি সরকার এই ঘটনায় চাপের মুখে পড়েছে। বিরোধী দল আরজেডি ও কংগ্রেস নীতীশ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করছে, বিশেষ করে আসন্ন অক্টোবর বা নভেম্বরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, “বিহারে কেউ কি নিরাপদ? সরকারি মদদপুষ্ট অপরাধীরা আইসিইউতে ঢুকে রোগীকে হত্যা করছে। ২০০৫ সালের আগে কি এমন ঘটনা ঘটেছিল? বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় সিনহা এই ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও বলেছেন, অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।
বিহার পুলিশের মহাপরিচালক বিনয় কুমার এনডিটিভিকে বলেন, “অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ২০০৪ সালে প্রতিদিন গড়ে চারটি অপরাধ হতো, এখন তা অনেক কমেছে। গত বছর প্রায় ২,৭০০ খুনের ঘটনা ঘটেছে, যা ২০০৪ সালের তুলনায় ১,৩০০ কম।” তিনি আরও বলেন, চন্দন মিশ্রর নামে প্রায় তিন ডজন মামলা ছিল। তিনি বক্সারের এক কুখ্যাত অপরাধীর সহযোগী ছিলেন। পরস হাসপাতালে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে হামলাকারীরা কেবিনে পৌঁছাল, তা তদন্ত করা হচ্ছে

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.