ঢাকা, ২৮ জুন ২০২৫: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে বেসামরিক ও শান্তিপূর্ণ খাতে সহযোগিতার জন্য ৩ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ইরানের বিধ্বস্ত পরমাণু প্রকল্প পুনরুজ্জীবিত করতে চায় ওয়াশিংটন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি জুনের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র ও অংশীদার এবং তেহরানের মধ্যে এ বিষয়ে গোপন আলোচনা চলছে। এই আলোচনা ইরান-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর আগেই শুরু হয়েছিল।
ট্রাম্প প্রশাসনের চারজন কর্মকর্তা সিএনএন-কে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি স্থায়ীভাবে বন্ধ করুক। তবে তেহরান এটিকে তাদের ‘রেডলাইন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে চাই। এজন্য আমরা ২ থেকে ৩ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছি, যার একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকিটা মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদের কাছ থেকে আসবে।”
এছাড়া, ইরানকে সমঝোতার পথে আনতে বিদেশি ব্যাংকে থাকা ইরানের ৬০০ কোটি ডলারের ফ্রিজড হিসাব খুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। পাশাপাশি, ইরানের তেল রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে। তবে ইরান এই প্রস্তাবে সম্মত হবে কিনা, তা নিয়ে ওয়াশিংটন এখনও নিশ্চিত নয়।
গত মে মাস থেকে ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের সংলাপ চলছিল। কিন্তু ১২ জুন ইসরায়েল তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে বিমান হামলা শুরু করে, অভিযোগ করে যে ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে। জবাবে ইরানও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে। ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায়, এবং পরের দিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন।