Friday, June 13, 2025

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের জন্য হোটেল ডোরচেস্টারে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

 

লন্ডন, ১৩ জুন ২০২৫ – বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের জন্য লন্ডনের পার্ক লেনে অবস্থিত হোটেল ডোরচেস্টারে পৌঁছেছেন। বৈঠকটি স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তারেক রহমান তার বাসা থেকে বৈঠকের উদ্দেশে রওনা দেন। চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডনে অবস্থানরত ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত মঙ্গলবার সকালে সেখানে পৌঁছান। অপরদিকে, ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে সপরিবারে অবস্থান করছেন তারেক রহমান, যিনি বর্তমানে বিএনপির মূল নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

গত সোমবার সরকার ও বিএনপির পক্ষ থেকে এই বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এরপর থেকে বৈঠকের আলোচ্যসূচি এবং তারেক রহমান কোন কোন বিষয়ে আলোচনা করবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানামুখী আলোচনা চলছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই আলোচনার দায়িত্ব পুরোপুরি তারেক রহমানের ওপর ন্যস্ত করা হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, বৈঠকে তিনটি প্রধান ইস্যু—নির্বাচন, সংস্কার এবং বিচার—প্রাধান্য পেতে পারে। তবে মূল ফোকাস থাকবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনার বিষয়ে। অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলেও বিএনপি মনে করে, চলতি বছরের ডিসেম্বরই নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময়। দলটির অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, আগামী বছরের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে, অর্থাৎ রোজার আগে নির্বাচন হলেও দলটির আপত্তি থাকবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ কালবেলাকে বলেন, “এই শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয় উঠে আসবে, বিশেষ করে নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনার বিষয়টি। সরকারের নিরপেক্ষতা, আইনের শাসন ও আদালতের রায় মেনে চলার বিষয়েও আলোচনা হবে। সংস্কারের বিষয়টিও উঠতে পারে। আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোব এবং আশা করি, এই আলোচনার মাধ্যমে জাতীয়ভিত্তিক গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত হবে।”
এই বৈঠকের ফলাফল ও আলোচ্যসূচি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র কৌতূহল বিরাজ করছে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে

এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.