দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ২৪.১৩ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
২০২৪ সালের মার্চে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১১.১১ শতাংশ ছিল। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪০ কোটি টাকা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসায় এই সংখ্যা রেকর্ড গড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা খেলাপি ঋণের কোনো তথ্য গোপন করব না। এটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর আদায় জোরদার করে কমানো হবে।” তিনি নতুন ঋণ যেন খেলাপি না হয়, সেজন্য আইনি কঠোরতা আনার কথাও জানান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কয়েকটি প্রভাবশালী গ্রুপ ঋণের নামে বিপুল অর্থ বের করে নিয়েছিল। এদের মধ্যে অনেকে এখন পলাতক বা কারাগারে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ঋণ পরিশোধ না করেও নিয়মিত দেখানোর সুযোগ বন্ধ হওয়ায় এস আলম, বেক্সিমকোসহ শীর্ষ ঋণগ্রহীতারা খেলাপিতে পরিণত হয়েছেন।
ব্যাংক খাতের এই সংকট মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ এবং স্বচ্ছতার ওপর জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বিশাল এই খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ.আই/এম.আর