ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে ‘নেশন অব লায়ন্স’ নামে একটি বিমান অভিযান পরিচালনা করেছে। টাইমস অব ইসরায়েলের বরাতে জানা গেছে, ইরান থেকে আসা তাৎক্ষণিক হুমকির জবাবে এই হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “যতক্ষণ না আমাদের মিশন শেষ হয়, ততক্ষণ এই অভিযান চলবে।”
ইসরায়েল সরকার দেশজুড়ে ‘বিশেষ জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইরানের সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার শঙ্কায় এই প্রতিরোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি জানিয়েছে, হামলায় বহু হতাহত হয়েছে, এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে, ইরানের কয়েকজন উচ্চপর্যায়ের পারমাণবিক বিজ্ঞানীর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, ইরান ইসরায়েলের ওপর পাল্টা হামলা শুরু করেছে। টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টায় ইরান ১০০টির বেশি ড্রোন ইসরায়েলের দিকে ছুড়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এগুলো ভূপাতিত করার চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে ইরানি ড্রোনগুলোকে ইসরায়েলের দিকে যাত্রা করতে দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্পষ্ট করেছেন, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়। তিনি বলেন, “আমাদের অগ্রাধিকার মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।” তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বা সেনাবাহিনীর ওপর হামলা হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে।
এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে, এবং পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে।
এ.আই/এম.আর