ইরানের রাজধানী তেহরানসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৩ জুন ২০২৫) ভোর ৩টার দিকে শুরু হওয়া এই হামলায় ইরানের দুই শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী এবং ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন। হামলার ফলে তেহরানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।
ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচি এবং ফেরেদুন আব্বাসি নিহত হয়েছেন। এছাড়া, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানে বিপ্লবী গার্ডের সদর দপ্তর ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে, হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে আগুন এবং ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। আলজাজিরাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এই হামলার ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে তেহরানের আবাসিক এলাকায় ধ্বংসপ্রাপ্ত গাড়ি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন, এই হামলা ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানাকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে। তিনি বলেন, এই অভিযান ইরানের পারমাণবিক হুমকি দূর করতে “যতদিন প্রয়োজন” চলবে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এই হামলার নিন্দা করে বলেছেন, ইসরায়েল “কঠোর শাস্তির” মুখোমুখি হবে।
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিপ্লবী গার্ড জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের এই “আগ্রাসনের” বিরুদ্ধে “কঠোর ও দৃঢ়” প্রতিক্রিয়া জানাবে। এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইরান ইতোমধ্যে প্রতিশোধ হিসেবে ১০০টির বেশি ড্রোন ইসরায়েলের দিকে পাঠিয়েছে। এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
এ.আই/এম.আর