আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ১২ জুন, ২০২৫ : নিকট ভবিষ্যতে ইরানের ওপর হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল, এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা। নিউইয়র্ক টাইমস, সিবিএসসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এই হামলার মাত্রা কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত মার্কিন সেনা ও কর্মকর্তারা চাইলে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে পারবেন। এই বিবৃতি এই গুঞ্জনকে আরও জোরদার করেছে। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত কয়েক মাস ধরে ইরানে হামলার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন চাইছেন। তবে ট্রাম্প এখনও এই পরিকল্পনায় সবুজ সংকেত দেননি। তিনি কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে জোর দিচ্ছেন।
দুই সপ্তাহ আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে ট্রাম্প বলেন, তিনি নেতানিয়াহুকে ইরানে হামলা থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করেছেন। কারণ, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে সংলাপ চলছে। তবে এই সংলাপে অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছেন। নিউইয়র্ক পোস্টের একটি পডকাস্টে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি এই সংলাপের ফলাফল নিয়ে আশাবাদী নন।
প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর ২০২৪-এ ইরান ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই হামলা প্রতিহত করে। এর জবাবে ইসরায়েল ২ দিন পর ইরানে বিমান হামলা চালায়, যাতে তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে ইসরায়েল। তবে ইরান এই দাবি অস্বীকার করেছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যে আরও অস্থিরতার আশঙ্কা তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কর্মকর্তারা এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
এ.আই/এম.আর