বিরসেবা, ১৯ জুন, ২০২৫: ইরান থেকে নিক্ষিপ্ত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় বিরসেবা শহরের সরোকা মেডিকেল সেন্টারে আঘাত হানে, যার ফলে হাসপাতালের ভবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে ইরানের এই হামলায় হাসপাতালের ছাদের একাংশ ধসে পড়েছে এবং বাইরের কাচের দেয়াল ভেঙে গেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, তবে আঘাতের তীব্রতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, সরোকা হাসপাতাল ছাড়াও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র অন্তত আরও তিনটি বেসামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, হাসপাতাল থেকে ধোঁয়া উঠছে এবং চারপাশে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে রয়েছে। আল–জাজিরার বরাতে টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, হাসপাতালে “ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি” হয়েছে, ফলে কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে না আসার অনুরোধ করেছে।
ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জেরুজালেম, তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক ডজন প্রজেক্টাইল নিক্ষেপ করা হয়, যার ফলে এসব এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে দ্রুত পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল এক্স-এ এক পোস্টে হাসপাতালে হামলাকে “ইচ্ছাকৃত ও অপরাধমূলক কাজ” বলে অভিহিত করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী উরিয়েল বুসো এটিকে “যুদ্ধাপরাধ” আখ্যায়িত করে বলেন, ইরান এই হামলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গ করেছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা তীব্র করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানান, সেনাবাহিনীকে তেহরানের কৌশলগত স্থাপনাগুলোতে হামলা জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের ইরানের আরাক হেভি ওয়াটার রিঅ্যাক্টরে বিমান হামলার পর এই হামলা হয়েছে, যেখানে ইরান দাবি করেছে কোনো রেডিয়েশন ফাঁস হয়নি। সপ্তম দিনে পৌঁছানো এই সংঘাত আরও বেসামরিক হতাহত ও আঞ্চলিক অস্থিরতার আশঙ্কা বাড়িয়েছে।
এ.আই/এম.আর