মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ইরান মঙ্গলবার (১৭ জুন, ২০২৫) ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে আরও ৮ দফায় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইরানের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা তেল আবিব, জেরুজালেম, হাইফা এবং হার্জলিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে হামলা চালিয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই হামলায় ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র এবং মোসাদের একটি কার্যালয়ও লক্ষ্যবস্তু ছিল। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) দাবি করেছে, তাদের হামলায় তেল আবিবের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে এবং ইসরায়েলের পরাজয় “নিশ্চিত”।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত তীব্র, পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
অন্যদিকে, ইসরায়েলও ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলি বাহিনী তেহরানে শাহরান তেল শোধনাগারসহ একাধিক সামরিক ও অর্থনৈতিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরানের যুদ্ধকালীন সেনাপ্রধান আলি সাদমানি এবং বিপ্লবী গার্ডের শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যা করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের যেকোনো নতুন সেনাপ্রধানকেও তারা লক্ষ্যবস্তু বানাবে।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন, যার ৯০% বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া ৪৮০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইরান তাদের সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর ছুটি বাতিল করেছে।
ইসরায়েলের দিক থেকে জানানো হয়েছে, গত চার দিনে ইরানের ৩৭০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৪ জন নিহত এবং প্রায় ৬০০ জন আহত হয়েছেন। তবে, ইসরায়েলের উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে।
এই পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব এবং বিভিন্ন দেশ উভয় পক্ষকে সংযমী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে, উভয় দেশের কঠোর অবস্থানের কারণে সংঘাত আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ.আই/এম.আর