তেহরান, ১৩ জুন, ২০২৫ – ইসরায়েলের একটি সুপরিকল্পিত ও আক্রমণাত্মক বিমান হামলার পর ইরান এখন নিজেকে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে বলে মনে করছে। এই হামলায় ইরানের একজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। সিএনএনের বিশ্লেষক বেথ স্যানার বলেন, “এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত, প্রতীকি ও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ।” তিনি যোগ করেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্রে এমন হামলা হতো এবং তাদের জেনারেল স্টাফ প্রধান নিহত হতেন, তবে আমেরিকার প্রতিক্রিয়া কেমন হতো তা ভেবেই বোঝা যায় ইরানের ক্ষোভ কতটা যুক্তিসঙ্গত।”
ইসরায়েলের হামলার পর অস্তিত্ব সংকটে ইরান, প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ঘোষণা দিয়েছেন, “ইসরায়েলকে তিক্ত ও বেদনাদায়ক পরিণতি ভোগ করতে হবে।” বিশ্লেষকদের মতে, ইরান এবার আগের তুলনায় আরও বড়, সুপরিকল্পিত এবং বিধ্বংসী প্রতিক্রিয়া দেখাবে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইরান ইতোমধ্যে ইসরায়েল লক্ষ্য করে প্রায় ১০০টি ড্রোন ছুড়েছে, যদিও অনেকগুলো ভূপাতিত হয়েছে। তবে এটি শেষ নয় বলে মনে করা হচ্ছে।
আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এই উত্তেজনা শুধু ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। ইরানের মিত্র হিজবুল্লাহ, হুতি এবং অন্যান্য মিলিশিয়া গোষ্ঠী যৌথ প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্য থেকে জরুরি নয় এমন কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ইসরায়েলের এই হামলায় ব্যবহৃত বেশিরভাগ বিমানই ছিল মার্কিন তৈরি, যা পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে এই সংঘাতের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলছে।
বিশ্লেষক রিচার্ড লে’বেরন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও এই সংঘাত থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবে না।” পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাওয়ায় আঞ্চলিক যুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়ছে।
এ.আই/এম.আর