by 
রোববার (১৫ জুন ২০২৫) ভোরে উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ মন্দির থেকে গুপ্তকাশি যাওয়ার পথে একটি হেলিকপ্টার জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারে থাকা ছয়জন তীর্থযাত্রী ও একজন পাইলটসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। আরিয়ান এভিয়েশন পরিচালিত এই হেলিকপ্টারটি উড্ডয়নের ১০ মিনিটের মধ্যে গৌরীকুণ্ড ও সোনপ্রয়াগের মধ্যবর্তী এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
উত্তরাখণ্ড সিভিল এভিয়েশন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (ইউসিএডিএ) জানিয়েছে, ভোর ৫টা ২০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তীর্থযাত্রীরা উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের বাসিন্দ। প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও প্রতিকূল আবহাওয়াকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হতে দেখে কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এসডিআরএফ) দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এক্সে (X) এই মর্মান্তিক ঘটনার কথা জানিয়ে বলেন, রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের খবর অত্যন্ত দুঃখজনক। উদ্ধারকারী দলগুলো ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটঠিকগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান উড্ডয়নের পাঁচ মিনিটের মধ্যে মেঘানিনগরে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জন নিহত হন। একমাত্র বেঁচে যাওয়া যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশ, একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। বিমানটি একটি বসতি এলাকায় ভেঙে পড়ায় স্থানীয় চিকিৎসকদের হোস্টেলে পাঁচজনসহ মোট ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়।। আহত প্রায় ৬০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের অনেকের অবস্থা গুরুতর।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান চলছে। এই দুই ঘটনা ভারতের বিমান পরিবহন খাতে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলেছে।
এ.আই/এম.আর
.jpeg)
