Wednesday, June 11, 2025

কমনওয়েলথ বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহায়তায় আগ্রহী

জাতীয়, ১১ জুন, ২০২৫ : কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়র্কর বোচওয়ে বলেছেন, আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংস্কারে সহায়তা প্রদানে আগ্রহী তাঁর সংস্থা। মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান।

বোচওয়ে বলেন, “বাংলাদেশ যদি চায়, বিশেষ করে সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য, তাহলে আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।” তিনি জানান, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করা কমনওয়েলথের আগামী পাঁচ বছরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এছাড়া, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রচেষ্টায় সহায়তা করাও তাঁদের অগ্রাধিকার।

কমনওয়েলথের ২.৭ বিলিয়ন জনগণের প্ল্যাটফর্মের কথা উল্লেখ করে বোচওয়ে জানান, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বর্তমানে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৮৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগামী কয়েক বছরে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ছোট সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশাধিকার পেতে সহায়তা করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কমনওয়েলথ মহাসচিবকে ক্রীড়া খাতে সম্ভাবনা অনুসন্ধান এবং তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “ক্রীড়া শুধু বিনোদন নয়, এটি একটি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি। আমরা ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহ দিচ্ছি। ক্রীড়া কমনওয়েলথকে স্মরণীয় করে তুলতে পারে।”
বোচওয়ে জানান, চলতি মাসে ঢাকায় একটি যুব প্রোগ্রাম আয়োজন করা হবে। কমনওয়েলথের ১.৫ বিলিয়ন তরুণ জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে তারা কাজ করছে এবং কমনওয়েলথ বৃত্তিগুলো পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করছে।
সাক্ষাতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.