পটুয়াখালী, ১৩ জুন ২০২৫: পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, দশমিনা উপজেলার দশমিনা সদর ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় দুটি রাজনৈতিক দল একই সময়ে পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইরতিজা হাসান শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১৫ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন। এ সময় সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র বহন, সেইসঙ্গে পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রিত হওয়া বা চলাফেরা নিষিদ্ধ করা হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নে গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এছাড়া, রাত ৯টার দিকে গলাচিপার পাতাবুনিয়া বটতলা বাজার এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ ওঠে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় নুরকে উদ্ধার করা হয়।
দশমিনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শানু জানান, বৃহস্পতিবার রাতে গলাচিপার ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে শুক্রবার সকালে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। তবে, ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি তাদের আগে জানানো হয়নি। তিনি বলেন, “বিক্ষোভ সমাবেশের পর প্রশাসনের মাইকিং শুনে আমরা জানতে পারি। এরপর আর কোনো কর্মসূচি পালন করা হয়নি।”
এদিকে, গলাচিপা উপজেলায়ও বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এসব ঘটনায় পটুয়াখালীর দুই উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ.আই/এম.আর